Saturday, October 26, 2013

ইউনিকোডে লেখা বাংলা বিজয়ে

আপডেট: ০০:৩৮, অক্টোবর ২৬, ২০১৩ |
কম্পিউটারে বাংলা লেখার ক্ষেত্রে বিজয় সফটওয়্যার বেশ জনপ্রিয়। তবে অনেকেই ইউনিকোডের ফোনেটিক কি-বোর্ডে বাংলা লেখা চর্চা করেন। কম্পিউটারে বিজয় সফটওয়্যার ইনস্টল করা না থাকলেও বিজয়ে বাংলা লেখা পড়া যায়। এ জন্য বিজয়ের যেকোনো ফন্ট কপি করে C:/Windows/Fonts ফোল্ডারে রেখে দিলে বাংলা লেখা পড়া যায়।
লেখার জন্য অভ্র কি-বোর্ডে ফোনেটিক নিয়মে বাংলা লিখে বিজয়ে তা রূপান্তর (কনভার্ট) করে নেওয়া যাবে। এ জন্য অভ্র কি-বোর্ড ৫.১.০ -এ বাংলা লিখে এর Tools থেকে Unicode to Bijoy text converter-এ ক্লিক করে সেটি খুলে Type or paste Unicode Bangla Text here ঘরে অভ্রতে লেখা বাংলাগুলো কপি করে পেস্ট করে Convert to Bijoy encoding বোতাম চাপলে সেটি বিজয়ের নিয়মে রূপান্তর হয়ে যাবে। এবার রূপান্তরিত লেখাগুলো নির্বাচন করে বিজয়ের যেকোনো ফন্ট নির্ধারণ করে দিলে বিজয় ফন্টে লেখা হয়ে যাবে।

Tuesday, October 22, 2013

চাইলে ইউএসবি বন্ধ রাখা যায়

আপডেট: ০০:১০, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৩
কম্পিউটারের ইউএসবি ব্যবহার বন্ধ রাখার প্রয়োজন পড়তেই পারে। আর আপনি ইচ্ছা করলেই রেজিস্ট্রি এডিটরের মাধ্যমে ইউএসবি ব্যবহার বন্ধ রাখতে পারেন। প্রথমে রানে গিয়ে লিখুন regedit। এন্টার করুন। ডায়ালগ বক্সের মধ্যে HKEY_LOCAL_MACHINE ফোল্ডারে দুই ক্লিক করুন। এরপর System ফোল্ডারে দুই ক্লিক করুন। তারপর Current Control Set ফোল্ডারের আবার দুই ক্লিক করুন। এর মধ্যে Services ফোল্ডারে দুই ক্লিক করতে হবে।
এখান থেকে USBSTOR ফোল্ডারের ওপর ক্লিক করুন। ডান পাশে কিছু অপশন প্রদর্শিত হবে এবং তার মধ্যে Start ফোল্ডারে ডান ক্লিক করে Modify অপশনে ক্লিক করুন। এখন Edit DWORD Value নামের একটি ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হবে এবং তার মধ্যে Value data-এর USBSTOR বক্সের মধ্যে Value 3 মুছে দিয়ে 4 লিখে OK করুন। সবকিছু বন্ধ করে কম্পিউটার আবার চালু (রিস্টার্ট) করুন। এখন আপনার কম্পিউটারে ইউএসবি ড্রাইভ ঢোকালে দেখা যাবে না।
আবার ইউএসবি ব্যবহার করেত চাইলে Value 4 মুছে দিয়ে 3 লিখে OK করুন এবং কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন।

উইন্ডোজ আটে সরাসরি অ্যাপস

আপডেট: ০১:৩০, অক্টোবর ০৩, ২০১৩
মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমে সরাসরি ডেস্কটপ থেকে  কোনো অ্যাপস চালু করার সুবিধা দেওয়া নেই। স্টার্ট মেনুতে গিয়ে তা দেখতে হয়। চাইলে ডেস্কটপ থেকে যেকোনো অ্যাপস চালানো যায়।ডেস্কটপের যেকোনো ফাঁকা স্থানে ডান ক্লিক করুন।NewShortcut থেকে নির্বাচন করুন। এবার Location ঘরে Explorer Shell:AppsFolder লিখে নেক্সট চাপুন। উইন্ডোতে All Programs লিখে Finish করুন। ডেস্কটপে All Programs নামের শর্টকাট ফোল্ডার  তৈরি হয়ে যাবে। এটিতে দুই ক্লিক করলেই সব অ্যাপস দেখা যাবে।

নিজের প্রক্সি সার্ভার

আপডেট: ০০:০২, অক্টোবর ২২, ২০১৩
বাংলাদেশে এখনো ইন্টারনেট যোগাযোগের ক্ষেত্রে সীমিত ব্যান্ডউইথ এবং ধীরগতি একটা সমস্যাই বটে। তবে এই সীমাবদ্ধতা কাটানো যায় ওয়েব ক্যাশিং প্রক্সি সার্ভার তৈরি করে। ক্যাশিং প্রক্সির কাজ হলো যে ওয়েব পেজ দেখা হয়েছে বা হচ্ছে তা ক্যাশ মেমোরিতে সংরক্ষণ করে রাখা এবং আবার ওই পেজ খুললে সেখান থেকেই দ্রুত সরবরাহ করা। এর ফলে ব্যান্ডউইথ সাশ্রয়ের পাশাপাশি দ্রুতগতিতে ওয়েব পেজ দেখা সম্ভব হয়। এর জন্য প্রয়োজন হবে Squid Caching Proxy নামে একটি মুক্ত সফটওয়্যার প্যাকেজ। ডাউনলোড করতে হবে http://goo.gl/orm7WL ঠিকানার ওয়েবসাইট থকে। এর আকার ২ মেগাবাইট।
স্কুইড ২.৭ সংস্করণের জিপ ফাইলটিকে এক্সট্রাক্ট করে squid ফোল্ডারটিকে কপি করে C:/ ড্রাইভে রাখুন। এই ফোল্ডারে etc নামে আরেকটি সাবফোল্ডারে চারটি কনফিগারেশন ফাইল আছে। এগুলোকে Rename করে নামের শেষে .default ফাইল এক্সটেনশন মুছে শুধু .conf পর্যন্ত রাখতে হবে। তারপর squid.conf ফাইলটি নোটপ্যাড দিয়ে খুলে একটু সম্পাদনা করতে হবে। squid ফাইলটি নোটপ্যাডে খোলা অবস্থায় Ctrl+F চেপে Find বক্সে লিখুন http_access deny all এবং দুবার এন্টার করুন।
লক্ষ করুন, হাইলাইট করা লাইনটির আগে কোনো # চিহ্ন নেই। এখানে deny শব্দটি পরিবর্তন করে লিখুন http_access allow all এবং সেভ করুন। এবার স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে সার্চ বক্সে cmd লিখে কমান্ড প্রম্পট টুলসটি এলে তাতে রাইট বাটন চেপে Run as administrator দিয়ে খুলুন। সেখানে প্রথমে cd c:quidbin লিখে এন্টার করুন। তারপর squid -i লিখে এন্টার চাপলে এই প্যাকেজটি উইন্ডোজ সার্ভিস হিসেবে রেজিস্ট্রিতে ঢুকে যাবে। এখন squid -z লিখে এন্টার চাপতে হবে। এবার স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে সার্চ বক্সে Services লিখে এন্টার করুন। সেখান থেকে Squid খুঁজে বের করে দুই ক্লিক করে খুলুন। স্টার্টআপ টাইপ Automatic এবং সার্ভিস স্ট্যাটাস Start করে ওকে করুন।
ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার (ব্রাউজার) ফায়ারফক্স হলে Firefox>Options>Options>Advanced> Network>Settings-এ গিয়ে Manual Proxy Configuration নির্বাচন করে Http Proxy বক্সে লিখুন localhost এবং পোর্ট বক্সে লিখুন ৩১২৮ (স্কুইড সেবার পূর্বনির্ধারিত পোর্ট হলো ৩১২৮)। Use this proxy server for all protocols-এ টিক দিয়ে ওকে করুন। আর ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার হলে Tools>Internet Options>Connections>LAN Settings>Proxy Server-এ টিকচিহ্ন দিয়ে অ্যাড্রেস বক্সে localhost এবং পোর্ট ৩১২৮ লিখে ওকে করুন। তৈরি হলো নিজস্ব ওয়েব ক্যাশিং প্রক্সি সার্ভার, স্কুইড।
যদি একাধিক কম্পিউটার ল্যানে (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক) যুক্ত থাকে তাহলে অন্যান্য কম্পিউটারে একইভাবে প্রক্সি সেটিং পরিবর্তন করে শুধু localhost এর বদলে স্কুইড যে কম্পিউটারে কনফিগার করা আছে তার আইপি ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে। প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করতে না চাইলে ব্রাউজারের সেটিংস আবার আগের মতো করে দিন। স্কুইড সেবাটি উইন্ডোজ রেজিস্ট্রি থেকে মোছার প্রয়োজন হলে Administrator হিসেবে কমান্ড প্রম্পট খুলে সেখানে sc delete squid লিখে এন্টার করলে সেবাটি মুছে যাবে।

Saturday, August 3, 2013

অ্যান্ড্রয়েডের জন্য মাইক্রোসফট অফিস

অ্যান্ড্রয়েডে এমএস অফিসস্মার্টফোনের মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের জন্য এবার চালু হচ্ছে মাইক্রোসফট অফিস প্যাকেজ। মাইক্রোসফটের অফিস ৩৬৫ হোম প্রিমিয়াম ও প্রো প্লাস সংস্করণ ব্যবহারকারীরা অ্যান্ড্রয়েড-চালিত স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন। এর আগে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ফোনের পাশাপাশি অ্যাপলের আইওএস-চালিত আইফোনের জন্যও অফিস প্যাকেজ ব্যবহারের সুবিধা চালু করে। এ সুবিধা চালুর ফলে অ্যান্ড্রয়েড-চালিত স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা বিনা মূল্যে মাইক্রোসফট অফিস ব্যবহার করতে পারবেন। অফিস মোবাইল অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করা যাবে। মাইক্রোসফটের একজন মুখপাত্র জানান, মূলত কম্পিউটারে মাইক্রোসফট অফিস ব্যবহার করে পরবর্তী সময়ে যাতে স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটেও সে কাজগুলো দেখা যায় এবং প্রয়োজনীয় কাজ করা যায়, সে জন্যই মাইক্রোসফট অফিসের মোবাইল সংস্করণ চালু হয়েছে।
অফিস ৩৬৫ সংস্করণ স্কাইড্রাইভ ওয়েব সেবা ব্যবহার করে, যার ফলে ডেস্কটপ বা মোবাইলে করা কাজগুলো স্কাইড্রাইভে জমা হয় এবং যন্ত্রগুলোতেই তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিঙ্কক্রোনাইজ হয়ে যায়। উইন্ডোজ ফোনে মাইক্রোসফট অফিসের এ সুবিধা চালুর পর আইওএসের জন্যও মাইক্রোসফট অফিস মোবাইল সংস্করণ চালু করা হয়। অফিস মোবাইল সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড ৪.০ বা পরবর্তী সংস্করণে ব্যবহার করা যাবে। http://goo.gl/qkrYtz ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে অফিস ৩৬৫ সংস্করণ নামানো যাবে।

Friday, August 2, 2013

অ্যাডসেন্সের বিকল্প

শিরোনামটা দেওয়া বোধ হয় কিছুটা ভুল হলো। কারণ, বর্তমানে ওয়েবসাইটে বিষয়ভিত্তিক বিজ্ঞাপনের জগতে গুগল অ্যাডসেন্সের রয়েছে একক আধিপত্য। অন্যভাবে বলতে গেলে, বিষয়টা যখন ওয়েব বিজ্ঞাপনের, তখন সবার প্রথম পছন্দ অ্যাডসেন্স। এই আধিপত্য গুগল এমনিতে পায়নি, অর্জন করে নিয়েছে। নির্ঝঞ্ঝাট অর্থ লেনদেন, সাপোর্ট ফোরাম, বেশিআয়ের সুযোগ এবং এক অ্যাকাউন্ট দিয়ে সবকটি অনুমোদিত ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রকাশবা দেখানোর সুযোগ থাকায় মানুষের ঝোঁক অ্যাডসেন্সের দিকে। কিন্তু অ্যাডসেন্সে অনুমোদন পাওয়া সহজ কথা নয়। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে তবেই গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ও ওয়েবসাইট অনুমোদন করে। তা ছাড়া বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-এশীয় দেশগুলোতে রয়েছে আরও প্রতিবন্ধকতা। সব মিলিয়ে নতুন ওয়েবসাইটের জন্য অ্যাডসেন্সের অনুমোদন পাওয়া রীতিমতো স্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে অর্থ উপার্জনকে অনেকে মূল পেশা হিসেবে নিচ্ছেন। আবার এটাকে খণ্ডকালীন কাজ হিসেবেও নিচ্ছেন অনেকে। এ ক্ষেত্রে মুখ্য বিষয় হচ্ছে ভিজিটর সংখ্যা, মানে কতজন আপনার ওয়েবসাইট দেখছে। আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি ভিজিটর আসবে, তত আয় বাড়বে। আর ওয়েবসাইট দেখার সংখ্যা বাড়াতে মানুষ বারবার সার্চ ইঞ্জিনে যে বিষয়গুলোর খোঁজ করে, এমন বিষয়ের ওপর তথ্যবহুল ওয়েবসাইট তৈরি করলে বেশি সুবিধা পাবেন।
যাঁরা এখনো ভাবছেন বিষয়ভিত্তিক বা কনটেক্সচুয়াল বিজ্ঞাপন কী, তাঁদের জন্য বলে রাখি, আপনার ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট, অর্থাৎ লেখা ও ছবির বিষয়ের ওপর নির্ভর করে প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপনই বিষয়ভিত্তিক বিজ্ঞাপন। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী আপনার সাইটের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখতে পাচ্ছে। ফলে সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার হার বেড়ে যায়, অর্থাৎ বিজ্ঞাপন থেকে আপনার আয় বেড়ে যাবে। বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক হিসেবে প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সে অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করবেন। অ্যাডসেন্সে অনুমোদন পেয়ে গেলে তো অবশ্যই ভালো। কিন্তু যদি অনুমোদন না পান তো সে ক্ষেত্রে কি চুপচাপ বসে থাকা ঠিক হবে?
অ্যাডসেন্সের মতো রয়েছে আরও অনেক বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক, যেগুলোর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের দেখার হারকে কাজে লাগিয়ে পেতে পারেন নিয়মিত অর্থ। তবে বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক নির্বাচনে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে খোঁজ নিতে হবে তারা মূলত কী ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে, তাদের সেবার মূলনীতি কী, টাকা উত্তোলনের মাধ্যম ও উত্তোলনের সর্বনিম্ন পরিমাণ, কোনো ধরনের খরচ আছে কি না, কোন অঞ্চলের ভিজিটরদের জন্য বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে ইত্যাদি। এখানে কিছু নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের খোঁজ দেওয়া হলো। এগুলো ছাড়া আরও নেটওয়ার্ক রয়েছে।
চিতিকাচিতিকা
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক এই বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে। বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের ক্ষেত্রে তারা মূলত ব্যবহারকারীর ভৌগোলিক অবস্থান ও ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তুর ওপর প্রাধান্য দেয়। চিতিকা পেপ্যাল ক্লিকভিত্তিক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। অর্থাৎ ভিজিটর যদি বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে, তবেই আপনি টাকা পাবেন। শুধু বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য কোনো টাকা পাওয়া যায় না। পেপ্যালের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ১০ এবং চেকের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৫০ ডলার তোলা যায়। মোবাইল ফোনের জন্য বিজ্ঞাপনসহ চিতিকার রয়েছে বিভিন্ন আকারের এমনকি আপনার পছন্দমতো আকারের বিজ্ঞাপন তৈরির সুযোগ। তবে চিতিকা সম্পর্কে অভিযোগ আছে যে তারা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ভিজিটরদের জন্য টাকা দেয়। ঠিকানা: www.chitika.com
ইয়াহু-বিং নেটওয়ার্কইয়াহু-বিং নেটওয়ার্ক
দুই সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু ও বিংয়ের যৌথ উদ্যোগে মিডিয়া ডট নেটের মাধ্যমে এই বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক পরিচালিত হয়। ইয়াহু ও বিং যৌথভাবে যেখানে বিজ্ঞাপন সরবরাহ করছে, সেখানে বিজ্ঞাপনের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। ছোট কিংবা বড়, এমনকি অল্প ট্র্যাফিকের যেকোনো সচল ওয়েবসাইট তারা অনুমোদন করে থাকে। বিভিন্ন আকার ও থিম থেকে আপনার প্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন বেছে নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে আপনার জন্য একজন ব্যক্তিগত প্রতিনিধির পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে, যেকোনো প্রয়োজনে আপনি তাঁর কাছে সাহায্য পাবেন। পেপ্যাল কিংবা চেকের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ১০০ ডলার উত্তোলন করতে পারবেন। ঠিকানা: www.media.net
ট্রাইবাল ফিউশনট্রাইবাল ফিউশন
আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে যদি প্রতি মাসে কমপক্ষে পাঁচ লাখ ইউনিক ভিজিটর আসে, তবেই কেবল আপনি ট্রাইবাল ফিউশনে নিবন্ধনের কথা ভাবতে পারেন। তবে এই বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্কটি থেকে আপনি বেশ ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। চেকে বা ব্যাংক ট্রান্সফারে সর্বনিম্ন ১০০ ডলার উত্তোলন করা যায়।
ঠিকানা: www.tribalfusion.com
ম্যাড অ্যাডস মিডিয়াম্যাড অ্যাডস মিডিয়া
এই বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্ক গুগল, ইয়াহু এবং অন্যান্য বড় নেটওয়ার্ক থেকে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে প্রদর্শন করে। অনেকটা সহজেই অনুমোদন পাওয়া যায় আর তা ছাড়া ক্লিকের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন দেখা, অর্থাৎ ইম্প্রেশনের জন্যও আপনার অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হতে থাকবে। ঠিকানা: www.madadsmedia.com
ক্লিকসরক্লিকসর
অনুমোদন পাওয়ার কোনো ঝামেলা নেই। যেকোনো সচল ওয়েবসাইটেই আপনি ক্লিকসর বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। তবে বিজ্ঞাপনের ধরন নির্বাচনে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, ব্যানার ও লেখার বিজ্ঞাপন ছাড়া অন্যান্য বিজ্ঞাপনে আপনার ভিজিটরকে ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। পেপ্যাল অথবা চেকের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৫০ ডলার উত্তোলন করা যাবে।
ঠিকানা: www.clicksor.com
ইনফোলিংকসইনফোলিংকস
ইন-টেক্সট বিজ্ঞাপন। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ডের ওপর ভিত্তি করে লিংক আকারে বিজ্ঞাপন থাকবে। কোনো ভিজিটর যদি সেই লিংকে ক্লিক করে, তবে ওয়েব পাবলিশারের অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হবে। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্কটি বর্তমানে ইন-টেক্সট বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি ইন-সার্চ, ইন-ফ্রেম ও ইন-ট্যাগ বিজ্ঞাপনী সেবা দিচ্ছে। ঠিকানা: www.infolinks.com
বাংলা ওয়েবসাইটের জন্য
অ্যাডসেন্সসহ অন্যান্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক সাধারণত বাংলায় তৈরি ওয়েবসাইটের জন্য বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে না কারণ বাংলা ভাষায় লেখা নিবন্ধের কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে তারা পারে না।
এ ছাড়া আপনি সরাসরি সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের আবেদন জানাতে পারেন। প্রথমে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের জন্য স্থান নির্ধারণ করে আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু, দৈনিক অথবা মাসিক ইউনিক ভিজিটর, সর্বমোট পেজভিউ এবং কোন দেশ থেকে বেশি ভিজিট হচ্ছে, এসব পরিসংখ্যান সরাসরি অথবা ই-মেইলে পাঠিয়ে দিন।