তবে
মূসক নিবন্ধন সব ব্যবসায়ীকে নিতে হবে না। বছরে ৩০ লাখ টাকার কম লেনদেন
হওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে এই নিবন্ধন নিতে হবে না। এর মানে হলো, প্রতি মাসে
যেসব প্রতিষ্ঠানের গড় লেনদেন আড়াই লাখ টাকার কম, তাদের মূসক নিবন্ধন নিতে
হবে না। বর্তমানে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক টার্নওভার হওয়া
প্রতিষ্ঠানগুলো প্যাকেজ মূসক দেয়। নতুন আইনে এসব প্রতিষ্ঠানও মূসক
নিবন্ধনের বাইরে থাকবে। তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্যাকেজ মূসক বহাল রাখার
দাবি জানিয়ে আসছেন।
বার্ষিক লেনদেন ৩০ লাখ টাকার বেশি হলেই অনলাইন নিবন্ধনের আওতায় আসবে। ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প দুভাবে নিবন্ধন দেবে। বার্ষিক ৩০ লাখ থেকে ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হলে যে নিবন্ধন দেওয়া হবে, তা তালিকাভুক্ত বা অ্যানলিস্টমেন্ট হিসেবে দেখানো হবে। লেনদেনের ওপর ৩ শতাংশ হারে টার্নওভার কর দেবে ওই প্রতিষ্ঠান। আর বার্ষিক লেনদেন ৮০ লাখ টাকার বেশি হলে ইলেকট্রনিক ব্যবসায় শনাক্তকরণ নম্বর (ইবিআইএন) নিতে হবে। তাঁদের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ হবে।
অনলাইনে সেবা নেওয়ার জন্য যে ইবিআইএন দেওয়া হবে¹তা অনেকটা অনলাইন কর শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএনের মতো। ঘরে বসেই ব্যবসায়ীরা এ নিবন্ধন নিতে পারবেন। বিবরণী দাখিলসহ কর পরিশোধও করতে পারবেন। ইতিমধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠানের সনাতনী পদ্ধতিতে বিআইএন নেওয়া আছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকেও এখন নতুন করে অনলাইন নিবন্ধন হতে হবে।
ভ্যাট অনলাইন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বিআইএন নেওয়া যাবে। বিআইএন নেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অন্য শাখার ঠিকানা, ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যবসায়ের ধরন, টার্নওভারের পরিমাণ, ব্যবসা শুরুর তারিখ, বিদ্যমান বিআইএনের তথ্য দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের তথ্য, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, নাম, ব্যবসায়ে তাঁদের অংশ ইত্যাদি তথ্যও দিতে হবে। একই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে পরে নিয়মিত মূসক রিটার্ন ও কর পরিশোধ করা যাবে।
আবার প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা চাইলে নিজ নিজ কমিশনারেট কার্যালয়ে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সনাতনী পদ্ধতিতে এ নিবন্ধন নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে এসব তথ্য ওই কমিশনারেট থেকে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প কার্যালয়ে পাঠানো হবে। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে নিবন্ধন দেবে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঘরে বসেই সব করতে পারবেন। তাঁদের মূসক কার্যালয়ে আসতে হবে না। হয়রানিও হতে হবে না। কর জমার পদ্ধতি সহজ হলে ব্যবসায়ীরা বেশি কর দিতে উৎসাহী হবেন।
এ পর্যন্ত সনাতনী পদ্ধতিতে ৭ লাখ ৮৪ হাজার প্রতিষ্ঠান বিআইএন নিয়েছে। তবে সব প্রতিষ্ঠান রিটার্ন জমা দেয় না। বছরে গড়ে ৫৭ হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান রিটার্ন জমা দেয়। ২০২০ সালের মধ্যে ৩ লাখ প্রতিষ্ঠানকে ইবিআইএনের আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন মূসক আইন বাস্তবায়ন শুরু হলে প্যাকেজ মূসক উঠে যাবে। চলতি অর্থবছরের জন্য এলাকাভেদে প্যাকেজ মূসক রয়েছে। প্যাকেজ মূসক হলে বিক্রি যা-ই হোক না কেন, বছর শেষে নির্ধারিত পরিমাণ মূসক হলেই হয়। কোনো হিসাব রাখার বালাই নেই। প্যাকেজ মূসকব্যবস্থা উঠে গেলে নতুন আইন অনুযায়ী রেয়াতি সুবিধা নিতে সারা বছর হিসাব রেখে প্রমাণ দিতে হবে।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ব্যবসা গুটিয়ে নিলে বিআইএন বাতিল করার সুযোগ ছিল না। নতুন ব্যবস্থায় বিআইএন বাতিল বা স্থগিত করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
বার্ষিক লেনদেন ৩০ লাখ টাকার বেশি হলেই অনলাইন নিবন্ধনের আওতায় আসবে। ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প দুভাবে নিবন্ধন দেবে। বার্ষিক ৩০ লাখ থেকে ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হলে যে নিবন্ধন দেওয়া হবে, তা তালিকাভুক্ত বা অ্যানলিস্টমেন্ট হিসেবে দেখানো হবে। লেনদেনের ওপর ৩ শতাংশ হারে টার্নওভার কর দেবে ওই প্রতিষ্ঠান। আর বার্ষিক লেনদেন ৮০ লাখ টাকার বেশি হলে ইলেকট্রনিক ব্যবসায় শনাক্তকরণ নম্বর (ইবিআইএন) নিতে হবে। তাঁদের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ হবে।
অনলাইনে সেবা নেওয়ার জন্য যে ইবিআইএন দেওয়া হবে¹তা অনেকটা অনলাইন কর শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএনের মতো। ঘরে বসেই ব্যবসায়ীরা এ নিবন্ধন নিতে পারবেন। বিবরণী দাখিলসহ কর পরিশোধও করতে পারবেন। ইতিমধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠানের সনাতনী পদ্ধতিতে বিআইএন নেওয়া আছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকেও এখন নতুন করে অনলাইন নিবন্ধন হতে হবে।
ভ্যাট অনলাইন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বিআইএন নেওয়া যাবে। বিআইএন নেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অন্য শাখার ঠিকানা, ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যবসায়ের ধরন, টার্নওভারের পরিমাণ, ব্যবসা শুরুর তারিখ, বিদ্যমান বিআইএনের তথ্য দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের তথ্য, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, নাম, ব্যবসায়ে তাঁদের অংশ ইত্যাদি তথ্যও দিতে হবে। একই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে পরে নিয়মিত মূসক রিটার্ন ও কর পরিশোধ করা যাবে।
আবার প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা চাইলে নিজ নিজ কমিশনারেট কার্যালয়ে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সনাতনী পদ্ধতিতে এ নিবন্ধন নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে এসব তথ্য ওই কমিশনারেট থেকে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প কার্যালয়ে পাঠানো হবে। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে নিবন্ধন দেবে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঘরে বসেই সব করতে পারবেন। তাঁদের মূসক কার্যালয়ে আসতে হবে না। হয়রানিও হতে হবে না। কর জমার পদ্ধতি সহজ হলে ব্যবসায়ীরা বেশি কর দিতে উৎসাহী হবেন।
এ পর্যন্ত সনাতনী পদ্ধতিতে ৭ লাখ ৮৪ হাজার প্রতিষ্ঠান বিআইএন নিয়েছে। তবে সব প্রতিষ্ঠান রিটার্ন জমা দেয় না। বছরে গড়ে ৫৭ হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান রিটার্ন জমা দেয়। ২০২০ সালের মধ্যে ৩ লাখ প্রতিষ্ঠানকে ইবিআইএনের আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন মূসক আইন বাস্তবায়ন শুরু হলে প্যাকেজ মূসক উঠে যাবে। চলতি অর্থবছরের জন্য এলাকাভেদে প্যাকেজ মূসক রয়েছে। প্যাকেজ মূসক হলে বিক্রি যা-ই হোক না কেন, বছর শেষে নির্ধারিত পরিমাণ মূসক হলেই হয়। কোনো হিসাব রাখার বালাই নেই। প্যাকেজ মূসকব্যবস্থা উঠে গেলে নতুন আইন অনুযায়ী রেয়াতি সুবিধা নিতে সারা বছর হিসাব রেখে প্রমাণ দিতে হবে।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ব্যবসা গুটিয়ে নিলে বিআইএন বাতিল করার সুযোগ ছিল না। নতুন ব্যবস্থায় বিআইএন বাতিল বা স্থগিত করার সুযোগ রাখা হয়েছে।