Thursday, October 19, 2017


ভালো থাকুন

শিশুদের জন্মগত হৃদ্‌রোগ


শিশুরাও হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মায়ের গর্ভে থাকাকালীন যদি শিশুর হৃদ্‌যন্ত্রটি বিভিন্ন গঠনগত বা কার্যগত সমস্যা নিয়ে তৈরি হয়, তবে তাকে জন্মগত হৃদ্‌রোগ বলা হয়।
কিন্তু কীভাবে বুঝবেন শিশুর হার্টে কোনো সমস্যা আছে? সব শিশুরই তো জন্মের পর আর হার্টের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় না।

সাধারণত এ ধরনের শিশুদের যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে:
*  মায়ের দুধ খাওয়ার সময় শিশু হাঁপিয়ে যায়, ক্লান্ত হয়ে যায়, শ্বাসকষ্ট হয়, শরীর অতিরিক্ত ঘেমে যায়
* ঘন ঘন ঠান্ডা-কাশি হয় বা নিউমোনিয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়
* ঘুম কম হয়, যার কারণে মেজাজ খিটখিটে থাকে
* শিশুর স্বাভাবিক ওজন বাড়ে না
* হৃদ্‌স্পন্দন খুব দ্রুত হয়
* জন্মের সময় ভীষণ রকমের কালচে বা নীলাভাব তার ঠোঁটে বা ত্বকে লক্ষ্য করা যায়
* জন্মের সময় স্বাভাবিক রকমের গায়ের বর্ণ নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও দুই মাস থেকে ছয় মাস বয়সের মধ্যে ধীরে ধীরে শিশুটির ঠোঁট বা চামড়ার রং গাড় নীল হতে থাকে এবং কান্নার সময় একই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হয়
এই উপসর্গগুলো বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিনে দু-তিনবারও হতে পারে। ওই মুহূর্তে তাকে উপুড় করে শুইয়ে দিলে তার আরাম হয়। বড় বাচ্চারা হাঁটু গেড়ে বসলেও তাদের স্বস্তি আসে।
* একটু বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বুকে ধড়ফড় করা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বাতজ্বর—এসব বিষয় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
প্রধানত দুইভাবে চিকিৎসা করা হয়: বিনা অপারেশনে ও সার্জারির মাধ্যমে।
সঠিক ওষুধ, ডিভাইস বা বোতাম দিয়ে হৃদ্‌যন্ত্রের ছিদ্র বন্ধ করা, চিকন ভাল্ব বেলুনের মাধ্যমে খুলে দেওয়া, জরুরি ভিত্তিতে হার্টের ওপরের চেম্বার দুটির মধ্যে ছিদ্র তৈরি করা ও সাময়িক বা স্থায়ী পেসমেকার প্রতিস্থাপন।
 এ ছাড়া সঠিক সময়ে সঠিক সার্জারি শিশুকে সুস্থ করে তুলতে পারে সম্পূর্ণভাবে।
শিশুর জন্মগত ত্রুটি যাতে না হয়, সে জন্য প্রত্যেক মা গর্ভবতী হওয়ার তিন মাস আগে এমএমআর টিকা নেবেন। এ ছাড়া মায়ের গর্ভকালীন উচ্চরক্তচাপ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যেকোনো ওষুধ সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কনসালট্যান্ট, পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি, অ্যাপোলো হাসপাতাল, ঢাকা

Monday, February 13, 2017

গ্রিনহাউস ঠেকাতে ‘গাছ ভবন’ বানাচ্ছে চীন


নিজ দেশে দূষণ ঠেকাতে এগিয়ে এসেছে চীন। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ঠেকাতেই ওই দেশের দুটো ভবনের মধ্যে রোপণ করা হবে হাজারো গাছ। আগামী বছরে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে। এই ভবনের নকশা করেছেন পৃথিবী বিখ্যাত স্থপতি স্টেফানো বোইরি।
চীনের শহরগুলোতে দূষণের কারণে ইতিমধ্যেই বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। তাই হয়তো তা থেকে রক্ষা পেতে উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
ডেইলি মেইল ও নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, চীনের পূর্ব উপকূলবর্তী শহর নানজিংয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে দুটি ভবন, যেখানে ভবনের প্রতি ধাপে রোপণ করা হবে সবুজ গাছ। ৩৫০ ফুটেরও বেশি উচ্চতার একটি ভবনে থাকবে ১১ হাজার সবুজ গাছ। আর এতে করে সেখানে বসবাসকারী মানুষের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন চাহিদা মিটবে বলে আশা করছে দেশটি।
ওই দুটি ভবনের নকশায় দেখা গেছে, ভবনের বাইরেটা থাকবে গাছপালাবেষ্টিত। ভবনে শপিং কমপ্লেক্স, সুইমিং পুল, জিম, হোটেল, রেস্তোরাঁ, কনফারেন্স হল, প্রদর্শনীর জন্য ফাঁকা জায়গা, বিনোদনমূলক স্থাপনার পাশাপাশি থাকবে বাচ্চাদের স্কুলও। এই কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা জানান, ইতিমধ্যে ভবনগুলোর নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এগুলো তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করছে দেশটি। এগুলোর পর দেশটির আরও কয়েকটি শহরে এমন ভবন বানানো হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
‘নানজিং গ্রিন টাওয়ার’ নামের ওই ভবনগুলোর নকশা করেছেন বিখ্যাত স্থপতি স্টেফানো বোইরি। তিনি বলেন, ভবন দুটো হবে পুরোপুরি সবুজ।
নানজিং গ্রিন টাওয়ারের দুটোর মধ্যে একটি ভবনের উচ্চতা ৬০০ ফিট। অপর, অর্থাৎ দ্বিতীয়টির উচ্চতা ৩৫৫ ফিট। ভবনের ছাদে থাকবে মিউজিয়াম ও ব্যক্তিগত ক্লাবও।
১ হাজার ১০০ গাছের মধ্যে ৬০০টি বড় লম্বা ধরনের আর ৫০০টি থাকবে মধ্যম আকার গাছ থাকবে। এগুলোর পাশাপাশি থাকবে আড়াই হাজার ছোট গাছও। এ গাছগুলো থেকে দৈনিক ৬০০ কেজি অক্সিজেন সরবরাহ হবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তা। এ ছাড়া বছরে ২৫ টন কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণ করবে গাছগুলো।
এর আগেও বোইরির পরিকল্পনা ও নকশায় ভবন তৈরি হয়েছে। ইতালির মিলান টাওয়ার বানিয়েছেন তিনি। ওই ভবনে ৯০০ গাছ লাগানো হয়। নানজিং শহরের যে ভবনগুলো হচ্ছে, সেগুলোর গঠনও অনেকটাই তেমন। মিলানের ওই ভবন ২০০৯ সালে নির্মাণ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৪ সালে। তবে চীনের ভবনগুলোর আবাসিক কাঠামোতে গাছপালার সংখ্যা দ্বিগুণ। সেই সঙ্গে ভবনগুলো মোট উচ্চতাও বেশি। সুইজারল্যান্ডেও এমন ভবন বানানো হয়েছে।

Saturday, February 4, 2017

আড়াই লাখ টাকার বেশি লেনদেন হলেই নিবন্ধন

আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইন বাস্তবায়ন হবে। এই আইন চালু হলে অনলাইনেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো রিটার্ন জমা, কর পরিশোধসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ করতে পারবে। কিন্তু অনলাইনে সব কাজ করতে হলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে নিবন্ধন নিতে হবে। ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের আওতায় এর প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। আগামী ১৫ মার্চ থেকে অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হবে। মূসক নিবন্ধন নিতে সময় পাওয়া যাবে সাড়ে তিন মাস। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তবে মূসক নিবন্ধন সব ব্যবসায়ীকে নিতে হবে না। বছরে ৩০ লাখ টাকার কম লেনদেন হওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে এই নিবন্ধন নিতে হবে না। এর মানে হলো, প্রতি মাসে যেসব প্রতিষ্ঠানের গড় লেনদেন আড়াই লাখ টাকার কম, তাদের মূসক নিবন্ধন নিতে হবে না। বর্তমানে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক টার্নওভার হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো প্যাকেজ মূসক দেয়। নতুন আইনে এসব প্রতিষ্ঠানও মূসক নিবন্ধনের বাইরে থাকবে। তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্যাকেজ মূসক বহাল রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন।
বার্ষিক লেনদেন ৩০ লাখ টাকার বেশি হলেই অনলাইন নিবন্ধনের আওতায় আসবে। ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প দুভাবে নিবন্ধন দেবে। বার্ষিক ৩০ লাখ থেকে ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হলে যে নিবন্ধন দেওয়া হবে, তা তালিকাভুক্ত বা অ্যানলিস্টমেন্ট হিসেবে দেখানো হবে। লেনদেনের ওপর ৩ শতাংশ হারে টার্নওভার কর দেবে ওই প্রতিষ্ঠান। আর বার্ষিক লেনদেন ৮০ লাখ টাকার বেশি হলে ইলেকট্রনিক ব্যবসায় শনাক্তকরণ নম্বর (ইবিআইএন) নিতে হবে। তাঁদের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ হবে।
অনলাইনে সেবা নেওয়ার জন্য যে ইবিআইএন দেওয়া হবে¹তা অনেকটা অনলাইন কর শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএনের মতো। ঘরে বসেই ব্যবসায়ীরা এ নিবন্ধন নিতে পারবেন। বিবরণী দাখিলসহ কর পরিশোধও করতে পারবেন। ইতিমধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠানের সনাতনী পদ্ধতিতে বিআইএন নেওয়া আছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকেও এখন নতুন করে অনলাইন নিবন্ধন হতে হবে।
ভ্যাট অনলাইন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বিআইএন নেওয়া যাবে। বিআইএন নেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অন্য শাখার ঠিকানা, ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যবসায়ের ধরন, টার্নওভারের পরিমাণ, ব্যবসা শুরুর তারিখ, বিদ্যমান বিআইএনের তথ্য দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের তথ্য, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, নাম, ব্যবসায়ে তাঁদের অংশ ইত্যাদি তথ্যও দিতে হবে। একই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে পরে নিয়মিত মূসক রিটার্ন ও কর পরিশোধ করা যাবে।
আবার প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা চাইলে নিজ নিজ কমিশনারেট কার্যালয়ে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সনাতনী পদ্ধতিতে এ নিবন্ধন নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে এসব তথ্য ওই কমিশনারেট থেকে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প কার্যালয়ে পাঠানো হবে। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে নিবন্ধন দেবে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঘরে বসেই সব করতে পারবেন। তাঁদের মূসক কার্যালয়ে আসতে হবে না। হয়রানিও হতে হবে না। কর জমার পদ্ধতি সহজ হলে ব্যবসায়ীরা বেশি কর দিতে উৎসাহী হবেন।
এ পর্যন্ত সনাতনী পদ্ধতিতে ৭ লাখ ৮৪ হাজার প্রতিষ্ঠান বিআইএন নিয়েছে। তবে সব প্রতিষ্ঠান রিটার্ন জমা দেয় না। বছরে গড়ে ৫৭ হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান রিটার্ন জমা দেয়। ২০২০ সালের মধ্যে ৩ লাখ প্রতিষ্ঠানকে ইবিআইএনের আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন মূসক আইন বাস্তবায়ন শুরু হলে প্যাকেজ মূসক উঠে যাবে। চলতি অর্থবছরের জন্য এলাকাভেদে প্যাকেজ মূসক রয়েছে। প্যাকেজ মূসক হলে বিক্রি যা-ই হোক না কেন, বছর শেষে নির্ধারিত পরিমাণ মূসক হলেই হয়। কোনো হিসাব রাখার বালাই নেই। প্যাকেজ মূসকব্যবস্থা উঠে গেলে নতুন আইন অনুযায়ী রেয়াতি সুবিধা নিতে সারা বছর হিসাব রেখে প্রমাণ দিতে হবে।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ব্যবসা গুটিয়ে নিলে বিআইএন বাতিল করার সুযোগ ছিল না। নতুন ব্যবস্থায় বিআইএন বাতিল বা স্থগিত করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

Monday, August 3, 2015

নীতিমালার খসড়া: সংবাদপত্র-টিভির ইন্টারনেট সংস্করণেরও নিবন্ধন লাগবে


‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা- ২০১৫’র এই খসড়ার উপর আগামী ১২ অগাস্ট পর্যন্ত সবার মতামত নেবে তথ্য মন্ত্রণালয়।
শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোর সম্পাদকদের নিয়ে আলোচনা করে এই নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ।
তিনি সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা অনলাইনগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে এনে আরও গতিশীল করতে চাই। অনলাইন সংবাদপত্রের সঙ্গে সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং রেডিওগুলোর অনলাইনও নিবন্ধনের আওতায় আসবে।”
তথ্য প্রযুক্তির প্রসারে ভুরি ভুরি অনলাইন সংবাদপত্র গড়ে উঠলেও তাদের তদারকির কোনো ব্যবস্থা এখনও হয়নি। এসব সংবাদপত্রের অধিকাংশই নামমাত্র বলে অভিযোগ রয়েছে।  
তথ্যসচিব বলেন, বিদ্যমান অনলাইন গণমাধ্যমের মধ্যে কোনগুলো নিবন্ধন পাবে, তা বিধিমালার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, “দেশে অনলাইন গণমাধ্যমের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
“বিদ্যমান অবস্থায় এসব গণমাধ্যম কোনো স্বীকৃতি বা সুযোগ-সুবিধা পায় না। অন্যদিকে গণমাধ্যমের জাতীয় মান রক্ষা করাও সম্ভব হচ্ছে না।”
জনগণের মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতা সমুন্নত রেখে গণমাধ্যমগুলোর স্বাধীনতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করাই নীতিমালা প্রণয়নের উদ্দেশ্য বলে খসড়ায় বলা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, সব অনলাইন গণমাধ্যমের সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, আর্থিক সঙ্গতি, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।
“কাগজ বা সম্প্রচারের জন্য নিবন্ধিত, ডিক্লারেশন বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত গণমাধ্যমকে অনলাইন প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচারের জন্য নিবন্ধিত হতে হবে।”
এসব অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার স্বতন্ত্র আইন বা বিধিমালা প্রণয়ন করবে উল্লেখ করে খসড়ায় বলা হয়েছে, এতে নিবন্ধন পদ্ধতি, যোগ্যতা-অযোগ্যতা ও বাতিলের বিধান রাখা হবে।
“তবে এই আইন বা বিধিমালা প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত তথ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে। শিগগিরই এই দায়িত্ব কমিশনের উপর ন্যস্ত করবে।”
নীতিমালা প্রণয়নের পর নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যমগুলো শর্ত সাপেক্ষে ‘ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে’ সরকারি সহায়তা পাবে বলেও খসড়ায় বলা হয়েছে।
খসড়া অনুযায়ী, অনলাইনের কোনো তথ্য-উপাত্তে কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান সংক্ষুব্ধ হলে তিনি বা ওই প্রতিষ্ঠান তথ্য-উপাত্ত প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ দিতে পারবেন।
কমিশন সরেজমিনে অভিযোগ তদন্ত করে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে।
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন-বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নীতিমালার খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে।
খসড়া নীতিমালার আটটি অধ্যায়ে পটভূমি, নিবন্ধন, তথ্য-উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার, বিজ্ঞাপন, তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ বা সম্প্রচারের অনুপযুক্ততা, কমিশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

Saturday, July 25, 2015

সবজি ও ফল রপ্তানিতে বিপর্যয়

আপডেট:

বাংলাদেশের সবজি ও ফল রপ্তানিতে দুঃসংবাদ যেন পিছু ছাড়ছেই না। সর্বশেষ খবর হলো, পণ্য দুটির রপ্তানি মারাত্মকভাবে কমে গেছে।
বছরের বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের কয়েকটি সবজি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আবার কিছু সবজি ও ফলের রপ্তানি সরকার নিজেই বন্ধ করে রেখেছে। এসবের কারণেই কমেছে সবজি ও ফলের রপ্তানি।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বলছে, সদ্য সমাপ্ত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশ থেকে ১০ কোটি ৩২ লাখ ডলারের সবজি রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রা তো পূরণ হয়ইনি, উল্টো আগের বছরের চেয়ে কমেছে ৩০ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ১৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের সবজি।
একইভাবে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ফল রপ্তানি হয়েছে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের। এ ক্ষেত্রে আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি কমেছে ৩৮ শতাংশ। ওই বছর ৬ কোটি ১৮ লাখ ডলারের ফল রপ্তানি হয়েছিল।
এসব বিষয়ে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান সুভাশীষ বসু প্রথম আলোকে বলেন, ইউরোপে ফাইটোস্যানিটারি সনদ (পিসি বা স্বাস্থ্য সনদ) ছাড়াই সবজি ও ফলের অনেক চালান গেছে। সেসব পণ্য ফেরতও এসেছে। বারবার একই ঘটনা ঘটায় কিছু পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে কৃষি মন্ত্রণালয় সবজি ও ফল রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। মন্ত্রণালয় বলে দিয়েছে যে নিবন্ধিত রপ্তানিকারক ছাড়া কেউ সবজি ও ফল রপ্তানি করতে পারবে না। অনেকেই এখনো নিবন্ধন করেননি। এসব কারণে রপ্তানি কমেছে।
বাংলাদেশ থেকে গত অর্থবছরের ১০ মাসে ৭০ হাজার টন আলু রপ্তানি হয়। এর মধ্যে রাশিয়ায় গেছে ১৪ হাজার টন। কিন্তু এরপরই ৬ মে বাংলাদেশি আলু আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়া। সম্ভাবনাময় বাজারটি বন্ধ হয়ে যায়। এর ওপর থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইনও কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের আলু আমদানি করছে না বলে রপ্তানিকারকদের সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশি সবজি ও ফলে কয়েক দফায় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও পোকা পাওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এসব পণ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) গত ২৭ এপ্রিল দেশ থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে তিন ধরনের সবজি ও ফল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। এগুলো হলো অ্যামারেনথাস প্রজাতি (লালশাক ও ডাঁটাশাক), সাইট্রাস প্রজাতি (জারা লেবু ছাড়া অন্যান্য লেবু) এবং ত্রিকোসানথেস প্রজাতি (করলা, চিচিঙা, ধুন্দল ও পটোল)। এসব সবজি ও ফলের পিসি ইস্যু করা বন্ধ করে দিয়েছে ডিএই। এই পিসি ছাড়া কোনো সবজি-ফল রপ্তানি করা যায় না। এসব পণ্যকে ইইউ ‘ক্রিটিক্যাল কমোডিটি’-এর তালিকায় রেখেছে।
এ ছাড়া গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই বাংলাদেশি পানের ওপর ইইউর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা চলছে। গত ২৬ জুন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ফল ও সবজি এবং এ-সংক্রান্ত পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফভিএপিইএ) তথ্য অনুযায়ী, দেশ থেকে যত সবজি ও ফল রপ্তানি হয়, তার ৪৭-৪৮ শতাংশই যায় ইউরোপে। কিন্তু ইউরোপে নিষেধাজ্ঞার কারণে রপ্তানিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
একাধিক রপ্তানিকারক জানান, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় আমদানিকারকেরা শুধু পান কিনতেন না। পানের সঙ্গে শসা, বেগুনের মতো সবজিরও কার্যাদেশ দিতেন। এখন পানের রপ্তানি বন্ধ থাকায় তাঁরা অন্য দেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করছেন।
আবার বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া প্রধান সবজির মধ্যে আছে বেগুন, কাঁকরোল, করলা, চিচিঙা। কিন্তু এসব পণ্যের রপ্তানি সরকার নিজেই বন্ধ করে রেখেছে।
একজন রপ্তানিকারক জানান, আমদানিকারকেরা আমাদের এক টন বেগুনের সঙ্গে ১০০ কেজি শসা নিত। এখন যেহেতু তারা মূল সবজি বেগুনই নিতে পারছে না, তাই তারা ঐচ্ছিক সবজি শসা নিতেও আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
ফরমালিনের আতঙ্কে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ফলের রপ্তানি বেশ কমে যায়। কিন্তু এবার তা না থাকায় ফলের রপ্তানি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। সে অনুযায়ী আম ও লিচুর রপ্তানি ভালো হয়েছে।
তবে ফল ও সবজি রপ্তানিকারক সমিতি বলছে, বাংলাদেশ থেকে যত ফল রপ্তানি হয়, তার ৫০ শতাংশই লেবু। আর এই লেবুর ওপরই সরকার রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে।
সমিতির সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন রপ্তানি কমে যাওয়ার আরেকটি কারণের কথা জানালেন। তাঁর মতে, বিমানে পণ্য পরিবহনে বাড়তি খরচ আর কার্গোতে জায়গা কম পাওয়ার কারণে সবজি ও ফল বেশি রপ্তানি করা যাচ্ছে না।
জাহাঙ্গীর হোসেনের অভিযোগ, বিদেশি এয়ারলাইনসে যেখানে প্রতি কেজি সবজি রপ্তানির ভাড়া ১৩০-১৩২ টাকা, সেখানে বাংলাদেশ বিমান নেয় ১৮০ টাকা। আবার তিনটি বোয়িং বিমান লন্ডনে যায়। প্রতি ফ্লাইটে ৩০ টন সবজি ও ফল ধরে। সে অনুযায়ী যদি ৯০ টনের জায়গা পাওয়া যেত, তাহলে রপ্তানি কয়েক গুণ বাড়ত।

Friday, July 18, 2014

বাইক ছুঁলেই...

আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ, রাজশাহী | আপডেট: ০১:৪৪, জুলাই ১৮, ২০১৪ |
বাইকের হাতল নাড়ালেই কল চলে যাবে মুঠোফোনে, দেখাচ্ছেন আতাউর রহমান। ছবি: প্রথম আলোমোটরবাইক চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। আর একবার চুরি হয়ে গেলে মোটরসাইকেল ফিরে পাওয়া সে এক কঠিন কাজ। কিন্তু যদি এমন হয়, চোর এসে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই স্বয়ংক্রিয় একটা কল চলে যাবে বাইকের মালিকের মুঠোফোনে! একই সঙ্গে মোটরবাইকও সতর্কসংকেত দিতে থাকবে। এই যন্ত্র বাড়িতে ও দোকানেও ব্যবহার করা যাবে। এগুলো যিনি তৈরি করেছেন তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দক্ষিণ মিলিকবাঘা গ্রামের আতাউর রহমান। অবাক হবেন তাঁর বয়স শুনে। আতাউরের বয়স ৬২ বছর। 
বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি মেরামতের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে যন্ত্রটি তিনি বানিয়েছেন। রাজশাহীতে প্রথম আলো কার্যালয়ে এসে যন্ত্রের খুঁটিনাটিও দেখালেন। আতাউর রহমানের যন্ত্রের তিনটি অংশ মিলে কাজটি করে। প্রধান অংশটির কাজ হচ্ছে চিঁ চিঁ শব্দে সতর্কসংকেত দেওয়া ও মুঠোফোনে কল পাঠানো। বাকি দুটি অংশকে মুখোমুখি করে রাখা হয়। একটির মুখ অন্যদিকে ঘোরালে অথবা দুটির মাঝখান দিয়ে কেউ প্রবেশ করলেই শব্দ উৎপাদক অংশটি কাজ শুরু করে দেয়। মুখোমুখি রাখা দুটি যন্ত্রে সেন্সর বসানো আছে। ফলে এ দুটির মাঝখান দিয়ে কেউ গেলে অথবা অন্যদিকে মুখটা ঘোরালেই সেন্সরে তা ধরা পড়ে এবং প্রধান যন্ত্রটি শব্দ করতে থাকে। 
আতাউর রহমান মোটরবাইকে এই যন্ত্রটি ক্ষুদ্রাকারে সংযোজন করতে পারেন। অন্য কোনো চাবি দিয়ে মোটরসাইকেলের হাতল সোজা করলেই দুটি যন্ত্রের মুখ দুদিকে ঘুরে যায়। আর সঙ্গে সঙ্গে তৃতীয় যন্ত্রটি কাজ শুরু করে। আবার নিজের চাবি দিয়ে হাতল খোলার সময় মালিক যন্ত্রটি বন্ধ রাখবেন। তাহলে কোনো শব্দ হবে না। এ জন্য ছোট্ট একটি সুইচ থাকবে। সুইচের অবস্থান শুধু মালিকই জানবেন।
আতাউর রহমান বলেন, দুই হাজার টাকায় যন্ত্রটি মোটরসাইকেলে সংযোজন করা যায়। বাসা বা দোকানের জন্য খরচ হয় তিন হাজার টাকা। এক সারিতে ৩০টি দোকান থাকলে একটি যন্ত্র স্থাপন করলেই চলবে। বাসায় কেউ না থাকলে রিং দেওয়ার পাশাপাশি চেঁচিয়ে যন্ত্রটি প্রতিবেশীর নজর কাড়তে পারবে। আবার বাজারের দোকানের ক্ষেত্রে পথচারীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবে। 
দীর্ঘদিন ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি সারাইয়ের কাজ করছেন আতাউর রহমান। সেই অভিজ্ঞতা ও ভালোলাগা থেকেই নিজে নিজে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি তৈরি করেন। চুরি ঠেকানোর এই যন্ত্র ছাড়াও স্বল্প খরচে লিফট তৈরি করেছেন তিনি। বাঘায় নিজের দোকানে সেটা ব্যবহারও করছেন। তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে একটি গবেষণাগার তৈরি করে সেখানে উৎসাহী যুবকদের উদ্ভাবনী কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া।

Saturday, October 26, 2013

ইউনিকোডে লেখা বাংলা বিজয়ে

আপডেট: ০০:৩৮, অক্টোবর ২৬, ২০১৩ |
কম্পিউটারে বাংলা লেখার ক্ষেত্রে বিজয় সফটওয়্যার বেশ জনপ্রিয়। তবে অনেকেই ইউনিকোডের ফোনেটিক কি-বোর্ডে বাংলা লেখা চর্চা করেন। কম্পিউটারে বিজয় সফটওয়্যার ইনস্টল করা না থাকলেও বিজয়ে বাংলা লেখা পড়া যায়। এ জন্য বিজয়ের যেকোনো ফন্ট কপি করে C:/Windows/Fonts ফোল্ডারে রেখে দিলে বাংলা লেখা পড়া যায়।
লেখার জন্য অভ্র কি-বোর্ডে ফোনেটিক নিয়মে বাংলা লিখে বিজয়ে তা রূপান্তর (কনভার্ট) করে নেওয়া যাবে। এ জন্য অভ্র কি-বোর্ড ৫.১.০ -এ বাংলা লিখে এর Tools থেকে Unicode to Bijoy text converter-এ ক্লিক করে সেটি খুলে Type or paste Unicode Bangla Text here ঘরে অভ্রতে লেখা বাংলাগুলো কপি করে পেস্ট করে Convert to Bijoy encoding বোতাম চাপলে সেটি বিজয়ের নিয়মে রূপান্তর হয়ে যাবে। এবার রূপান্তরিত লেখাগুলো নির্বাচন করে বিজয়ের যেকোনো ফন্ট নির্ধারণ করে দিলে বিজয় ফন্টে লেখা হয়ে যাবে।

Tuesday, October 22, 2013

চাইলে ইউএসবি বন্ধ রাখা যায়

আপডেট: ০০:১০, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৩
কম্পিউটারের ইউএসবি ব্যবহার বন্ধ রাখার প্রয়োজন পড়তেই পারে। আর আপনি ইচ্ছা করলেই রেজিস্ট্রি এডিটরের মাধ্যমে ইউএসবি ব্যবহার বন্ধ রাখতে পারেন। প্রথমে রানে গিয়ে লিখুন regedit। এন্টার করুন। ডায়ালগ বক্সের মধ্যে HKEY_LOCAL_MACHINE ফোল্ডারে দুই ক্লিক করুন। এরপর System ফোল্ডারে দুই ক্লিক করুন। তারপর Current Control Set ফোল্ডারের আবার দুই ক্লিক করুন। এর মধ্যে Services ফোল্ডারে দুই ক্লিক করতে হবে।
এখান থেকে USBSTOR ফোল্ডারের ওপর ক্লিক করুন। ডান পাশে কিছু অপশন প্রদর্শিত হবে এবং তার মধ্যে Start ফোল্ডারে ডান ক্লিক করে Modify অপশনে ক্লিক করুন। এখন Edit DWORD Value নামের একটি ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হবে এবং তার মধ্যে Value data-এর USBSTOR বক্সের মধ্যে Value 3 মুছে দিয়ে 4 লিখে OK করুন। সবকিছু বন্ধ করে কম্পিউটার আবার চালু (রিস্টার্ট) করুন। এখন আপনার কম্পিউটারে ইউএসবি ড্রাইভ ঢোকালে দেখা যাবে না।
আবার ইউএসবি ব্যবহার করেত চাইলে Value 4 মুছে দিয়ে 3 লিখে OK করুন এবং কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন।

উইন্ডোজ আটে সরাসরি অ্যাপস

আপডেট: ০১:৩০, অক্টোবর ০৩, ২০১৩
মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমে সরাসরি ডেস্কটপ থেকে  কোনো অ্যাপস চালু করার সুবিধা দেওয়া নেই। স্টার্ট মেনুতে গিয়ে তা দেখতে হয়। চাইলে ডেস্কটপ থেকে যেকোনো অ্যাপস চালানো যায়।ডেস্কটপের যেকোনো ফাঁকা স্থানে ডান ক্লিক করুন।NewShortcut থেকে নির্বাচন করুন। এবার Location ঘরে Explorer Shell:AppsFolder লিখে নেক্সট চাপুন। উইন্ডোতে All Programs লিখে Finish করুন। ডেস্কটপে All Programs নামের শর্টকাট ফোল্ডার  তৈরি হয়ে যাবে। এটিতে দুই ক্লিক করলেই সব অ্যাপস দেখা যাবে।

নিজের প্রক্সি সার্ভার

আপডেট: ০০:০২, অক্টোবর ২২, ২০১৩
বাংলাদেশে এখনো ইন্টারনেট যোগাযোগের ক্ষেত্রে সীমিত ব্যান্ডউইথ এবং ধীরগতি একটা সমস্যাই বটে। তবে এই সীমাবদ্ধতা কাটানো যায় ওয়েব ক্যাশিং প্রক্সি সার্ভার তৈরি করে। ক্যাশিং প্রক্সির কাজ হলো যে ওয়েব পেজ দেখা হয়েছে বা হচ্ছে তা ক্যাশ মেমোরিতে সংরক্ষণ করে রাখা এবং আবার ওই পেজ খুললে সেখান থেকেই দ্রুত সরবরাহ করা। এর ফলে ব্যান্ডউইথ সাশ্রয়ের পাশাপাশি দ্রুতগতিতে ওয়েব পেজ দেখা সম্ভব হয়। এর জন্য প্রয়োজন হবে Squid Caching Proxy নামে একটি মুক্ত সফটওয়্যার প্যাকেজ। ডাউনলোড করতে হবে http://goo.gl/orm7WL ঠিকানার ওয়েবসাইট থকে। এর আকার ২ মেগাবাইট।
স্কুইড ২.৭ সংস্করণের জিপ ফাইলটিকে এক্সট্রাক্ট করে squid ফোল্ডারটিকে কপি করে C:/ ড্রাইভে রাখুন। এই ফোল্ডারে etc নামে আরেকটি সাবফোল্ডারে চারটি কনফিগারেশন ফাইল আছে। এগুলোকে Rename করে নামের শেষে .default ফাইল এক্সটেনশন মুছে শুধু .conf পর্যন্ত রাখতে হবে। তারপর squid.conf ফাইলটি নোটপ্যাড দিয়ে খুলে একটু সম্পাদনা করতে হবে। squid ফাইলটি নোটপ্যাডে খোলা অবস্থায় Ctrl+F চেপে Find বক্সে লিখুন http_access deny all এবং দুবার এন্টার করুন।
লক্ষ করুন, হাইলাইট করা লাইনটির আগে কোনো # চিহ্ন নেই। এখানে deny শব্দটি পরিবর্তন করে লিখুন http_access allow all এবং সেভ করুন। এবার স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে সার্চ বক্সে cmd লিখে কমান্ড প্রম্পট টুলসটি এলে তাতে রাইট বাটন চেপে Run as administrator দিয়ে খুলুন। সেখানে প্রথমে cd c:quidbin লিখে এন্টার করুন। তারপর squid -i লিখে এন্টার চাপলে এই প্যাকেজটি উইন্ডোজ সার্ভিস হিসেবে রেজিস্ট্রিতে ঢুকে যাবে। এখন squid -z লিখে এন্টার চাপতে হবে। এবার স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে সার্চ বক্সে Services লিখে এন্টার করুন। সেখান থেকে Squid খুঁজে বের করে দুই ক্লিক করে খুলুন। স্টার্টআপ টাইপ Automatic এবং সার্ভিস স্ট্যাটাস Start করে ওকে করুন।
ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার (ব্রাউজার) ফায়ারফক্স হলে Firefox>Options>Options>Advanced> Network>Settings-এ গিয়ে Manual Proxy Configuration নির্বাচন করে Http Proxy বক্সে লিখুন localhost এবং পোর্ট বক্সে লিখুন ৩১২৮ (স্কুইড সেবার পূর্বনির্ধারিত পোর্ট হলো ৩১২৮)। Use this proxy server for all protocols-এ টিক দিয়ে ওকে করুন। আর ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার হলে Tools>Internet Options>Connections>LAN Settings>Proxy Server-এ টিকচিহ্ন দিয়ে অ্যাড্রেস বক্সে localhost এবং পোর্ট ৩১২৮ লিখে ওকে করুন। তৈরি হলো নিজস্ব ওয়েব ক্যাশিং প্রক্সি সার্ভার, স্কুইড।
যদি একাধিক কম্পিউটার ল্যানে (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক) যুক্ত থাকে তাহলে অন্যান্য কম্পিউটারে একইভাবে প্রক্সি সেটিং পরিবর্তন করে শুধু localhost এর বদলে স্কুইড যে কম্পিউটারে কনফিগার করা আছে তার আইপি ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে। প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করতে না চাইলে ব্রাউজারের সেটিংস আবার আগের মতো করে দিন। স্কুইড সেবাটি উইন্ডোজ রেজিস্ট্রি থেকে মোছার প্রয়োজন হলে Administrator হিসেবে কমান্ড প্রম্পট খুলে সেখানে sc delete squid লিখে এন্টার করলে সেবাটি মুছে যাবে।