ম্যাচের আগে তারা ছিল নিরঙ্কুশ ফেবারিট। মিরপুরের আকাশে বাতাসে যেন নিরুচ্চারে জয়ধ্বনি ছড়িয়ে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সেমিফাইনালে খেলবে বলে কলম্বোর টিকিট পর্যন্ত কেটে রেখেছিল তারা। কিন্তু রাত দশটায় মিরপুরে ছড়িয়ে পড়ল গ্রায়েম স্মিথদের নীরব কান্না। মাত্র ২২১ রানের পুঁজি নিয়েই ৪৯ রানে জিতে গেল নিউজিল্যান্ড। সেই নিউজিল্যান্ড যারা এই মাঠেই পাঁচ মাস আগে বাংলাদেশের কাছে হয়েছে ‘ধবলধোলাই’। জয়ের জন্য ২২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ৪৩.২ ওভারে ১৭২ রানে গুটিয়ে গেল পরাক্রমশালী দক্ষিণ আফ্রিকা। লড়াইটাকে শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডিও বলা যাচ্ছে না। কিন্তু যা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে, তা হলো দক্ষিণ আফ্রিকা সেই ‘চোকার্স’ই থেকে গেছে। আসল পরীক্ষার সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারে না তারা পালিয়ে যায়।
বাংলাদেশ নেই। তার পরও খেলা শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে ভরে গেল গ্যালারি। জেসি রাইডার বাউন্ডারি মারছেন তাতেও হাততালি, ডেল স্টেইন উইকেট নিচ্ছেন তাতেও হাততালি। বাংলাদেশে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে দর্শক দেখাল, তারা আসলেই ক্রিকেটপিয়াসী। বাংলাদেশ নেই তো কী হয়েছে, মাঠে তো ক্রিকেটই হচ্ছে!
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হওয়া আগের কোয়ার্টার ফাইনালাটা, কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের দুটি ম্যাচ দর্শকদের চূড়ান্ত হতাশা ‘উপহার’ দিয়েছে। এই তিন ম্যাচ দেখে যদি কেউ কোনো ধরনের ক্রিকেটীয় আনন্দ পেয়ে থাকেন, তিনি অবশ্যই সর্বোচ্চ ব্যতিক্রম। সে তুলনায় কাল কিছুটা ক্রিকেট তো অবশ্যই হয়েছে। মাত্র ১৬ রানে দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল আর ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে হারিয়েও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচে থাকাটা আরেকবার হতাশ হওয়া থেকে বাঁচিয়েছে দর্শকদের।
অক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের জন্য রাইডারকে এ দেশের মানুষও চেনে। ব্যাট হাতে তাঁর উইকেটে আসার পর সে কারণেই হয়তো নেচে উঠেছিল গ্যালারির একাংশ। হতাশ করেননি রাইডার।্র১২১ বলে ৮৩ রানের ইনিংসে ওরকম মারমার কাটকাট ব্যাটিং না হলেও ১৬ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়া ম্যাচে ওটাই বিনোদনের খোরাক হলো। তৃতীয় উইকেটে রস টেলরের সঙ্গে ১১৪ রানের জুটি। তাতে নিউজিল্যান্ড বোলাররা অল্প হলেও যেমন লড়াইয়ের রসদ পেল, নিখাদ ক্রিকেটীয় বিনোদন পেতে আসা দর্শকদের থলেটাও খালি থাকল না। অন্তত দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ে নামার আগ পর্যন্ত একটা জমাট কোয়ার্টার ফাইনালের আশা সবার মনেই ছিল। ক্রিকেট মানে চূড়ান্ত অনিশ্চিত একটা ব্যাপার। ২২১ রানের ম্যাচেও তো কত কিছুই হতে পারে!
দক্ষিণ আফ্রিকা ২ উইকেটে ১০৮ রানে পৌঁছে যাওয়ায় মনে হচ্ছিল, ক্রিকেটীয় অনিশ্চয়তা বোধ হয় নির্বাসনে চলে গেছে। কিন্তু ১৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ম্যাচ হঠাৎই দোদুল্যমান। ‘চোকার্স’ শব্দটা আবারও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গী হয়ে যায় কি না, শুরু হয়ে গেল এই আলোচনাও।
রাইডার ৮৩, টেলর ৪৩, স্টাইরিস ১৬ আর উইলিয়ামসন ৩৮—নিউজিল্যান্ড ইনিংসে দুই অঙ্কের রান আর কেবল অতিরিক্ত ১৪! ১৬ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর রাইডার ও টেলর মিলে ১১৪ রানের জুটি নিউজিল্যান্ডকে ভালো একটা ভিত্তি দিয়েছিল। কিন্তু এর পরই উচ্চাভিলাষী শট নিতে গিয়ে নিউজিল্যান্ড ইনিংসের পতন।
২২২ রানের টার্গেট ছুঁতে অবশ্য খুব বেশি শট খেলার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার আসল প্রতিপক্ষ তো নিউজিল্যান্ড ছিল না, ছিল চিরন্তন সেই দুর্বলতার জায়গাটা। নিস্তরঙ্গ মনে হতে থাকা ম্যাচে তাই হঠাৎই তুমুল উত্তেজনা। ‘চোকার্স’ শব্দটা দ্রুত এসে জড়িয়ে ধরল স্মিথদের।
বাংলাদেশ নেই। তার পরও খেলা শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে ভরে গেল গ্যালারি। জেসি রাইডার বাউন্ডারি মারছেন তাতেও হাততালি, ডেল স্টেইন উইকেট নিচ্ছেন তাতেও হাততালি। বাংলাদেশে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে দর্শক দেখাল, তারা আসলেই ক্রিকেটপিয়াসী। বাংলাদেশ নেই তো কী হয়েছে, মাঠে তো ক্রিকেটই হচ্ছে!
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হওয়া আগের কোয়ার্টার ফাইনালাটা, কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের দুটি ম্যাচ দর্শকদের চূড়ান্ত হতাশা ‘উপহার’ দিয়েছে। এই তিন ম্যাচ দেখে যদি কেউ কোনো ধরনের ক্রিকেটীয় আনন্দ পেয়ে থাকেন, তিনি অবশ্যই সর্বোচ্চ ব্যতিক্রম। সে তুলনায় কাল কিছুটা ক্রিকেট তো অবশ্যই হয়েছে। মাত্র ১৬ রানে দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল আর ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে হারিয়েও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচে থাকাটা আরেকবার হতাশ হওয়া থেকে বাঁচিয়েছে দর্শকদের।
অক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের জন্য রাইডারকে এ দেশের মানুষও চেনে। ব্যাট হাতে তাঁর উইকেটে আসার পর সে কারণেই হয়তো নেচে উঠেছিল গ্যালারির একাংশ। হতাশ করেননি রাইডার।্র১২১ বলে ৮৩ রানের ইনিংসে ওরকম মারমার কাটকাট ব্যাটিং না হলেও ১৬ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়া ম্যাচে ওটাই বিনোদনের খোরাক হলো। তৃতীয় উইকেটে রস টেলরের সঙ্গে ১১৪ রানের জুটি। তাতে নিউজিল্যান্ড বোলাররা অল্প হলেও যেমন লড়াইয়ের রসদ পেল, নিখাদ ক্রিকেটীয় বিনোদন পেতে আসা দর্শকদের থলেটাও খালি থাকল না। অন্তত দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ে নামার আগ পর্যন্ত একটা জমাট কোয়ার্টার ফাইনালের আশা সবার মনেই ছিল। ক্রিকেট মানে চূড়ান্ত অনিশ্চিত একটা ব্যাপার। ২২১ রানের ম্যাচেও তো কত কিছুই হতে পারে!
দক্ষিণ আফ্রিকা ২ উইকেটে ১০৮ রানে পৌঁছে যাওয়ায় মনে হচ্ছিল, ক্রিকেটীয় অনিশ্চয়তা বোধ হয় নির্বাসনে চলে গেছে। কিন্তু ১৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ম্যাচ হঠাৎই দোদুল্যমান। ‘চোকার্স’ শব্দটা আবারও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গী হয়ে যায় কি না, শুরু হয়ে গেল এই আলোচনাও।
রাইডার ৮৩, টেলর ৪৩, স্টাইরিস ১৬ আর উইলিয়ামসন ৩৮—নিউজিল্যান্ড ইনিংসে দুই অঙ্কের রান আর কেবল অতিরিক্ত ১৪! ১৬ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর রাইডার ও টেলর মিলে ১১৪ রানের জুটি নিউজিল্যান্ডকে ভালো একটা ভিত্তি দিয়েছিল। কিন্তু এর পরই উচ্চাভিলাষী শট নিতে গিয়ে নিউজিল্যান্ড ইনিংসের পতন।
২২২ রানের টার্গেট ছুঁতে অবশ্য খুব বেশি শট খেলার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার আসল প্রতিপক্ষ তো নিউজিল্যান্ড ছিল না, ছিল চিরন্তন সেই দুর্বলতার জায়গাটা। নিস্তরঙ্গ মনে হতে থাকা ম্যাচে তাই হঠাৎই তুমুল উত্তেজনা। ‘চোকার্স’ শব্দটা দ্রুত এসে জড়িয়ে ধরল স্মিথদের।