Saturday, March 26, 2011

 উদ্বোধনী জুটিতেই শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

সেই ১৯৭৫ সালে শুরু। ৩৬ বছরেও বিশ্বকাপ বন্ধ্যাত্ব ঘোচা হলো না ইংল্যান্ডের! গত বিশ্বকাপে বিদায় হয়েছিল সুপার এইট থেকে। এবার অ্যান্ড্রু স্টাউসরা স্বপ্ন দেখছিলেন ইতিহাস নতুন করে লেখার। কিন্তু চার বছর পরও ভাগ্যের চাকা থামল ওই আগের জায়গাতেই। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই আজ ইংলিশদের বিদায় করে সেমিফাইনালে উঠে গেছে শ্রীলঙ্কা।
সেঞ্চুরি করলেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তিলকরত্নে দিলশান ও উপুল থারাঙ্গা। জয়টাও উদ্বোধনী জুটিতেই! কলম্বোয় আজকের ১০ উইকেটের জয় ফাইনালে ওঠার লড়াইয়েও লঙ্কানদের পাথেয় হয়ে থাকবে। ২৯ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালের লড়াইটা যে হবে এখানেই!
সেমিফাইনালের টিকিট পেতে চাই ২৩০ রান। চেনাজানা কন্ডিশনে লক্ষ্যটা খুব বেশি কঠিন ছিল না। তাই বলে এত সহজে! শ্রীলঙ্কার কেউ এমন একটা জয় কখনো কল্পনাও করেছেন কি না, সন্দেহ আছে। যা কল্পনাতেও আসার মতো নয়, সেটিই বাস্তবে করে দেখিয়েছেন তিলকরত্নে দিলশান ও উপুল থারাঙ্গা।
শ্রীলঙ্কার জয়ের প্রাথমিক কাজটা করে দিয়েছেন বোলাররা ইংল্যান্ডকে মাত্র ২২৯ রানে আটকে দিয়ে। দলীয় ৩১ রানেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাজঘরে। ইংলিশদের প্রাথমিক বিপর্যয় কাটে জোনাথন ট্রট ও রাভি বোপারার ৬৪ রানের জুটিতে। ট্রট ও এউইন মরগানের হাফ সেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২২৯ রান। কিন্তু শ্রীলঙ্কার মতো দলের বিপক্ষে এ রান যে মামুলি, তা ইংলিশদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন দিলশান ও থারাঙ্গা।
সংক্ষিপ্ত
ইংল্যান্ড ২২৯/৬ (৫০ ওভার)
ট্রট ৮৬, মরগান ৫০
মুরালি ৫৪/২
শ্রীলঙ্কা ২৩১/০ (৩৯.৩ ওভার)
দিলশান ১০৮* , থারাঙ্গা ১০২*