Monday, February 28, 2011

জয় ক্রিকেটের


গোটা গ্যালারিতে তখন উৎকণ্ঠা। টিভি পর্দায় যারা খেলা দেখছিলেন, উৎকণ্ঠার কমতি ছিল না তাদেরও। শেষ তিন বলে ইংল্যান্ডের চাই ৫ রান। অতিরিক্ত থেকে একটি রান নিলেন আজমল শেহজাদ। পরের বলে দুটি রান নিলেন সোয়ান। শেষ বলে চাই ২ রান! উৎকণ্ঠা ছাড়িয়ে তখন একটা দম বন্ধ করার মতো পরিবেশ!
জয় যেতে পারে যে কারও ঘরে। যেন ফাঁসির মঞ্চে বোলার মুনাফ প্যাটেল আর ব্যাটসম্যান সোয়ান। মুনাফ যখন শেষ বলটা করতে দৌড়ালেন, তখন সোয়ান উত্তেজনায় নিজের ভেতরে ছিলেন কি না কে জানে! বল ব্যাটে লাগিয়েই দৌড়ালেন সোয়ান, এলো একটি রান। ভারত ৩৩৮, ইংল্যান্ডও ৩৩৮—ম্যাচ টাই, জয় হলো ক্রিকেটেরই!
ক্রিকেট যে সত্যিই ‘অনিশ্চয়তায়’ মোড়ানো খেলা, তা আরেকবার দেখা গেল ব্যাঙ্গালোরে। শচীন টেন্ডুলকার করলেন ১২০ রান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পাঁচটি সেঞ্চুরি হাঁকানোর কৃতিত্বটা এখন শুধুই তাঁর। শচীনের সেঞ্চুরি মাটি করে দিতে বসেছিলেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। খেললেন ১৫৮ রানের এক ‘অবিশ্বাস্য’ ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ম্যাচসেরাও হয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক। তবে ভারত হারেনি বলে বিষাদে ডুবতে হয়নি শচীন ভক্তদের।
৩৩৯ রান তাড়া করতে নেমে ৪০ ওভারে ২ উইকেটে ২৭২ তুলে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। ৬০ বলে দরকার মাত্র ৬৭ রান। গোটা গ্যালারিতে তখন উৎকণ্ঠা। ম্যাচ যে চলে যাচ্ছে ভারতের নাগালের বাইরে! পরের অংশটুকু ছিল উৎকণ্ঠা আর রুদ্ধশ্বাসের। ম্যাচ যেন এগিয়ে যাচ্ছিল হেলে-দুলে। অবশেষে ম্যাচের সমাধান আসে শেষ বলের নাটকীয়তায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ৩৩৮/১০ (৪৯.৫ ওভার)
শচীন ১২০, যুবরাজ ৫৮, গম্ভীর ৫১
ব্রেসনান ৪৮/৫
ইংল্যান্ড: ৩৩৮/৮ (৫০ ওভার)
স্ট্রাউস ১৫৮, ইয়ান বেল ৬৯
জহির ৬৪/৩, মুনাফ ৭০/২, চাওলা ৭১/২