গোপন বিচার
জাসদ সভাপতি ইনুসহ দুইজনের দণ্ড নিয়ে রুল জারি
বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনালে ১৯৭৬ সালের ১৪ জুন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন ও ওই ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও দলের সহসভাপতি রবিউল আলমকে দণ্ড দেওয়া কেন বেআইনি ও অসংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।আজ বুধবার বেলা ১২টায় বিচারপতি এ এইচ এম শাসসুদ্দিন চৌধুরী ও শেখ মো. জাকির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁদের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
একই আদালতে ওই সময় কর্নেল তাহেরের গোপন বিচার নিয়ে তাহের পরিবারের করা রিটের শুনানির জন্য রয়েছে।
রিট আবেদনকরীর পক্ষের আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ জানান, একই সঙ্গে রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি হবে।
সূত্র জানায়, আবেদনে গোপন বিচার ও তাঁদের দণ্ড প্রদানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এ ছাড়া আবেদনে ১৯৭৬ সালের জুলাই মাসে সামরিক আদালতে অনুষ্ঠিত বিচার অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণার পাশাপাশি তাঁদের হারিয়ে যাওয়া সামজিক মর্যাদা ফিরে পাওয়ার আরজি জানানো হয়েছে। ওই আদালতে কর্নেল তাহেরের গোপন বিচার ও দণ্ডের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি হচ্ছে।
জানা যায়, ১৯৭৬ সালের ১৭ জুলাই সামরিক আদালতের রায়ে লে. কর্নেল তাহেরের ফাঁসি ছাড়াও অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। ওই সময় দেওয়া রায়ে হাসানুল হক ইনুর ১০ বছর জেল, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর ১৯৮০ সালের ১৩ জুন ইনু মুক্তি পান। এ ছাড়া রবিউল আলমের পাঁচ বছর জেল, ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজা দেওয়া হয়।