অস্ট্রেলিয়ার জয় ৪ উইকেটে
দিনটা যে অস্ট্রেলিয়ার, তা সকালেই জানান দিয়েছিলেন ব্রেট লি। ২৭ রানে তিনজন ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে ম্যাচটি এনে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হাতের মুঠোয়। কোনোমতে, জোনাথন ট্রটের ইনিংসের ওপর ভর করে ইংল্যান্ড দল নিজেদের সংগ্রহকে নিয়ে যান ২০০ রানের ওপর। তবে সেই রানই ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার জন্য কঠিন মনে হচ্ছিল। দলের সংগ্রহ ১০০ না পেরোতেই পাঁচজন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে খুব সম্ভবত ম্যাচটির আশা ছেড়েই দিয়েছিল তারা। তবে, অসিদের চিরন্তন ‘নেভার সে ডাই’ মনোভাবটি মাঝের কয়েক দিন মুখ লুকিয়ে থাকার পর, আবার যে ফিরে আসছে, তারই একটা বাস্তব নমুনা দেখালেন ডেভিড হাসি। স্মিথ ও হেস্টিংসকে সঙ্গী করে অস্ট্রেলিয়াকে শেষ পর্যন্ত তিনি নিয়ে গিয়েছেন জয়ের বন্দরে। অ্যাশেজ সিরিজে হতাশার পর ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের পথে অনেক দূরই এগিয়ে গিয়েছে তারা। সিডনিতে আজকের ম্যাচে ৪ উইকেটের ব্যবধানে জয়ের মাধ্যমে তারা সিরিজে এগিয়ে রয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। এই মুহূর্তে সিরিজ জয়কে খুব কাছে থেকেই দেখতে পাচ্ছে তারা।
সিডনিতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংই বেছে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু শুরুটা ছিল খুবই বাজে। দলীয় এক রানেই ব্রেট লির বলে প্রিয়র এলবির ফাঁদে পড়েন। এরপর অধিনায়ক এন্ড্রু স্ট্রাউস জোনাথন ট্রটকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এক ভুল বোঝাবুঝিতে দুঃখজনকভাবে ২৩ রানে শেষ হয় স্ট্রাউসের সম্ভাবনাময় ইনিংস। এরপর ইয়ান বেলও সঙ্গী হন প্রিয়র ও স্ট্রাউসের। দলের রান তখন ৬১। এরপর মরগান ও ট্রটের মধ্যে গড়ে ওঠে ৫৭ রানের জুটি। ট্রট শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮৪ রানে। মরগানের সংগ্রহ ছিল ৩০। অস্ট্রেলীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইংলিশদের রান তোলা কঠিন হয়ে পড়ার মুখে শেষদিকে হাল ধরেন রাইট ও ওয়াকস। রাইটের ৩২ ও ওয়াকসের ১২ রানে কোনোমতে ২০০ রানের কোটা পার হয় ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ব্রেট লি আজ সিডনিতে দীর্ঘদিন পড়ে জ্বলে উঠে দলে নিজের অন্তর্ভুক্তির যথার্থতা প্রমাণ করেন ভালোভাবেই। লি’কে যোগ্য সঙ্গ দেন ডোহার্টি। ৩৭ রানের বিনিময়ে তাঁর সংগ্রহ ছিল ২ উইকেট। এ ছাড়া হেস্টিংস, ওয়াটসন ও ডেভিড হাসি প্রত্যেকেই নেন ১টি করে উইকেট।
জবাবে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওয়াটসন, মার্শ ও মাইকেল ক্লার্ককে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায়। দলীয় ৯২ রানে ক্যামেরন হোয়াইট আউট হলে ইংল্যান্ডের জয়ের আশা দেখা দেয়। ১০০ রানে ব্র্যাড হাডিন কলিংউডের বলে আউট হলে ২১৪ রানও অস্ট্রেলিয়ার জন্য দূরের কল্পনা মনে হচ্ছিল। তবে ব্যাট হাতে শেষ চমকটি দেখান ডেভিড হাসি। তাঁর লড়াকু ৬৮ রান ধীরে ধীরে অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে আসে জয়ের খুব কাছে। ট্রেমলেট ও কলিংউডের জোড়া উইকেট আশা জাগালেও নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার খেসারত দিতে হয় ইংল্যান্ডকে ম্যাচটিতে ৪ উইকেটে হেরে। রয়টার্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড ২১৪ (৪৮ ওভার)
ট্রট ৮৪*
ব্রেট লি ৩/২৭
অস্ট্রেলিয়া ২১৫/৬ (৪৬ ওভার)
ডেভিড হাসি ৬৮
(অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে জয়ী)
দিনটা যে অস্ট্রেলিয়ার, তা সকালেই জানান দিয়েছিলেন ব্রেট লি। ২৭ রানে তিনজন ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে ম্যাচটি এনে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হাতের মুঠোয়। কোনোমতে, জোনাথন ট্রটের ইনিংসের ওপর ভর করে ইংল্যান্ড দল নিজেদের সংগ্রহকে নিয়ে যান ২০০ রানের ওপর। তবে সেই রানই ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার জন্য কঠিন মনে হচ্ছিল। দলের সংগ্রহ ১০০ না পেরোতেই পাঁচজন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে খুব সম্ভবত ম্যাচটির আশা ছেড়েই দিয়েছিল তারা। তবে, অসিদের চিরন্তন ‘নেভার সে ডাই’ মনোভাবটি মাঝের কয়েক দিন মুখ লুকিয়ে থাকার পর, আবার যে ফিরে আসছে, তারই একটা বাস্তব নমুনা দেখালেন ডেভিড হাসি। স্মিথ ও হেস্টিংসকে সঙ্গী করে অস্ট্রেলিয়াকে শেষ পর্যন্ত তিনি নিয়ে গিয়েছেন জয়ের বন্দরে। অ্যাশেজ সিরিজে হতাশার পর ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের পথে অনেক দূরই এগিয়ে গিয়েছে তারা। সিডনিতে আজকের ম্যাচে ৪ উইকেটের ব্যবধানে জয়ের মাধ্যমে তারা সিরিজে এগিয়ে রয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। এই মুহূর্তে সিরিজ জয়কে খুব কাছে থেকেই দেখতে পাচ্ছে তারা।
সিডনিতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংই বেছে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু শুরুটা ছিল খুবই বাজে। দলীয় এক রানেই ব্রেট লির বলে প্রিয়র এলবির ফাঁদে পড়েন। এরপর অধিনায়ক এন্ড্রু স্ট্রাউস জোনাথন ট্রটকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এক ভুল বোঝাবুঝিতে দুঃখজনকভাবে ২৩ রানে শেষ হয় স্ট্রাউসের সম্ভাবনাময় ইনিংস। এরপর ইয়ান বেলও সঙ্গী হন প্রিয়র ও স্ট্রাউসের। দলের রান তখন ৬১। এরপর মরগান ও ট্রটের মধ্যে গড়ে ওঠে ৫৭ রানের জুটি। ট্রট শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮৪ রানে। মরগানের সংগ্রহ ছিল ৩০। অস্ট্রেলীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইংলিশদের রান তোলা কঠিন হয়ে পড়ার মুখে শেষদিকে হাল ধরেন রাইট ও ওয়াকস। রাইটের ৩২ ও ওয়াকসের ১২ রানে কোনোমতে ২০০ রানের কোটা পার হয় ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ব্রেট লি আজ সিডনিতে দীর্ঘদিন পড়ে জ্বলে উঠে দলে নিজের অন্তর্ভুক্তির যথার্থতা প্রমাণ করেন ভালোভাবেই। লি’কে যোগ্য সঙ্গ দেন ডোহার্টি। ৩৭ রানের বিনিময়ে তাঁর সংগ্রহ ছিল ২ উইকেট। এ ছাড়া হেস্টিংস, ওয়াটসন ও ডেভিড হাসি প্রত্যেকেই নেন ১টি করে উইকেট।
জবাবে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওয়াটসন, মার্শ ও মাইকেল ক্লার্ককে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায়। দলীয় ৯২ রানে ক্যামেরন হোয়াইট আউট হলে ইংল্যান্ডের জয়ের আশা দেখা দেয়। ১০০ রানে ব্র্যাড হাডিন কলিংউডের বলে আউট হলে ২১৪ রানও অস্ট্রেলিয়ার জন্য দূরের কল্পনা মনে হচ্ছিল। তবে ব্যাট হাতে শেষ চমকটি দেখান ডেভিড হাসি। তাঁর লড়াকু ৬৮ রান ধীরে ধীরে অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে আসে জয়ের খুব কাছে। ট্রেমলেট ও কলিংউডের জোড়া উইকেট আশা জাগালেও নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার খেসারত দিতে হয় ইংল্যান্ডকে ম্যাচটিতে ৪ উইকেটে হেরে। রয়টার্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড ২১৪ (৪৮ ওভার)
ট্রট ৮৪*
ব্রেট লি ৩/২৭
অস্ট্রেলিয়া ২১৫/৬ (৪৬ ওভার)
ডেভিড হাসি ৬৮
(অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে জয়ী)