Friday, January 28, 2011

আ.লীগ-সমর্থিত ৭টি, বিএনপি-সমর্থিত ৩টি ও স্বতন্ত্র ১টিতে জয়ী


পৌর নির্বাচনের ফলাফল
আ.লীগ-সমর্থিত ৭টি, বিএনপি-সমর্থিত ৩টি ও স্বতন্ত্র ১টিতে জয়ী
দেশের নয় জেলার ১২টি পৌরসভায় আজ বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। বেসরকারি ফল অনুযায়ী, সাতটি পৌরসভায় মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা। এর মধ্যে রয়েছেন একজন বিদ্রোহী প্রার্থী। বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন তিনটি পৌরসভায়। দুটি পৌরসভার মধ্যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের এক প্রার্থী এবং নির্দলীয় এক প্রার্থী মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ নিয়ে সারা দেশে পাঁচ দফায় হওয়া ২৪৮টি পৌরসভায় ১১৬টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ও বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রার্থীরা। ১০৬টিতে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
নির্বাচন উপলক্ষে আজ সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
বিজয়ী মেয়র পদপ্রার্থীরা: দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর পৌরসভায় মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এ জেড এম মেনহাজুল হক। তিনি পেয়েছেন ছয় হাজার ৫৭৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবদুল ওয়াহাব পেয়েছেন ছয় হাজার ৫৬৪ ভোট।
মাগুরায় আওয়ামী লীগের মো. আলতাফ হোসেন ২৩ হাজার ১৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. হাসান সিরাজ পেয়েছেন ১২ হাজার ৩৪৭ ভোট।
ভোলার চরফ্যাশনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আবদুস সালাম হাওলাদার। তাঁর ভোট ছয় হাজার ৩১৬টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আমিরুল ইসলাম পেয়েছেন দুই হাজার ৯৩৪ ভোট।
নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী মো. ইলিয়াস বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ২১০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি-সমর্থিত বিলকিস সরকার পুতুল পেয়েছেন তিন হাজার ১৯৭ ভোট।
মাদারীপুর পৌরসভায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী খালিদ হোসেন ইয়াদ। তাঁর ভোট ১৩ হাজার ৮৩৪টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জাহান্দার আলী জাহান পেয়েছেন আট হাজার ১০৮ ভোট।
শরীয়তপুরের জাজিরায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের ফকির। তিনি পেয়েছেন তিন হাজার ৭৯৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের মো. ইউনুস ব্যাপারী পেয়েছেন দুই হাজার ৫৯৮ ভোট।
নেত্রকোনার মদন পৌরসভায় নির্দলীয় প্রার্থী দেওয়ান মোদাচ্ছের হোসেন তিন হাজার ৫৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান মেয়র বিএনপির শফিকুল আলম পেয়েছেন দুই হাজার ২০৯ ভোট।
ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক খান। তিনি পেয়েছেন তিন হাজার ৩৬৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আকবর হোসেন পেয়েছেন তিন হাজার ২৯৭ ভোট।
কক্সবাজার পৌরসভায় জামায়াতে ইসলামীর সরওয়ার কামাল ২১ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুজিবুর রহমান ১৬ হাজার ৩০৩ পেয়েছেন ভোট।
চকরিয়ায় বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির নুরুল ইসলাম হায়দার। তাঁর ভোট ১১ হাজার ২২৭টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের জাফর আলম পেয়েছেন নয় হাজার ৫০৯ ভোট।
মহেশখালীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মকসুদ মিয়া সিকদার ছয় হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সরওয়ার আজম পেয়েছেন তিন হাজার ৩৯০ ভোট।
টেকনাফে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী মো. ইসলাম মিয়া। তাঁর ভোট ছয় হাজার ২১৬টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামী-সমর্থিত মোহাম্মদ ইসমাইল পেয়েছেন দুই হাজার ৮৭৩ ভোট।
[সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।]