Monday, January 24, 2011

Cricket

দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ অধরাই থাকল ধোনিদের
দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জয় অধরাই থাকল ধোনিদের। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে জিতলেও সিরিজ জয় করা হয়নি। তাই সেঞ্চুরিয়ানে আজ জিতলে সিরিজের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসও ধরা দিত ধোনিদের হাতে। কারণ এর আগে স্মিথ-ক্যালিসদের দেশে ভারত কোনো ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি। কিন্তু ধোনিরা পারলেন না। অপেক্ষা পরবর্তী কোনো সিরিজ পর্যন্ত।
আজ মেঘলা আকাশ দেখে টস জিতে ফিল্ডিংই নিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। দলীয় ১৬ রানেই প্রোটিয়া অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথকে ফিরিয়ে দিয়ে ভারতীয় বোলাররা অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সম্মানই জানিয়েছিলেন। কিন্তু হাশিম আমলার অনবদ্য সেঞ্চুরি শেষ পর্যন্ত ভারতের সব স্বস্তি-আনন্দকে ছাপিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পৌঁছে দেয় চ্যলেঞ্জিং এক সংগ্রহে। ৪২তম ওভারে বৃষ্টি নামলে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থেকে চার ওভার কমিয়ে দেন ম্যাচ রেফারি। কিন্তু ততক্ষণে আমলা ও ফনউইকের কল্যাণে দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাড় করায়। বৃষ্টি শেষে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে বেশ কয়েকটি উইকেট হারালেও ইনিংস শেষে স্পিংবকদের সংগ্রহ দাড়ায় ২৫০/৯। স্কোরটা সমীহজাগানিয়াই। অন্তত, সাম্প্রতিককালে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ফর্মহীনতা ৪৬ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার ২৫০ রানকে একটু কঠিনই করে তুলেছে।
আমলা দৃপ্ত হাতে এক দিক ধরে রেখে করেছেন ১১৬ রান। ফনউইক ৫৬ রান করে তাঁকে দিয়েছেন সঙ্গ। এর পাশাপাশি জেপি ডুমিনির ৩৫ দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহে রেখেছে বড় ব্যবধান।
ভারতের পক্ষে মুনাফ প্যাটেল, জহির খান ও যুবরাজ সিং নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন সাত উইকেট।
২৫১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। প্রথম ১২ ওভারেই সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, মহেদ্র সিং ধোনি, পার্থিব প্যাটেল, যুবরাজ সিং। দলের রান তখন মাত্র ৬০। এর পর ৬০ থেকে ১১৯ রানে যেতে ভারত হারায় আরও দুই উইকেট। এর পর জহির খানকে নিয়ে হাল ধরেন ইউসুফ পাঠান। ৮টি চার ও ৮টি ছয়ে ৭০ বলে ১০৫ রানে ইউসুফকে সাজঘরে পাঠান মরনে মরকেল। ভারতের রান নয় ইউকেটে ২১৯। এই জুটিতে জহিরের অবদান ২৪। এরপর ২১৯ থেকে ২৩৪ রানে যেতেই সব ইউকেট হারায় ভারত। মরনে মরকেল নেন ৪টি ইউকেট। ভারতকে হারিয়ে ৩-২ এ সিরিজ জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচ সেরা হন হাশিম আমলা। সিরিজ সেরা হন মরনে মরকেল। রয়টার্স ও ওয়েবসাইট।