Tuesday, January 25, 2011


ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ

খুলনা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ


ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে খুলনা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে আজ মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস (হল) ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে আজ সকালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত সাতজন নেতা-কর্মী আহত হন। তাত্ক্ষণিকভাবে এর প্রতিবাদে একপক্ষ অধ্যক্ষের কক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রতিপক্ষের কয়েকজনকে বহিষ্কারের দাবি জানান। অন্যপক্ষের নেতা-কর্মীরাও অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করে। এ সময় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিমাদ্রি শেখর প্রথম আলোকে বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও কলেজ শাখার যুগ্ম সম্পাদক সাব্বির মাহমুদ, আরাফাত মাহমুদ ও নাঈম-উল আলমের নেতৃত্বে একটি পক্ষ সাধারণ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দিতে বাধ্য করছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে ভাঙচুর, মাদকসেবন ও ছাত্রীদের উত্ত্যক্তকরণে তাঁরা জড়িত উল্লেখ করে এঁদের বহিষ্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ সকাল ১০টার দিকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে যান। কিন্তু প্রতিপক্ষরা এতে বাধা দিলে সেখানে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাব্বির মাহমুদ বলেন, চাঁদাবাজি ও অছাত্রসুলভ আচরণের দায়ে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সভাপতি চয়ন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক আসিব ইকবাল গতকাল আবারও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
দুই পক্ষই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে পৃথক স্মারকলিপি দেয়। জরুরি পরিস্থিতিতে ডাকা একামেডিক কাউন্সিলের সভা শেষে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী হামিদ আসগার অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধের ঘোষণা দেন।
পরে কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দুই পক্ষই ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে।
উল্লেখ্য, ১১ জানুয়ারি কলেজ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় পঞ্চম বর্ষের ছাত্র চয়ন বিশ্বাস ও আসিফ ইকবালকে কলেজ ও ছাত্রাবাস থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।