মার্কিন বিজ্ঞানীর দাবি : মহাবিশ্বে আমরা একা
মানুষ যখন বৈজ্ঞানিক উত্কর্ষের চরম শিখরে আরোহণ করে মহাবিশ্বে উন্নত প্রাণীর খোঁজে ব্যস্ত, ঠিক তখনই উত্সাহের আঁচে পানি ঢালার মতো করে প্রখ্যাত এক মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ঘোষণা করলেন, ‘মহাবিশ্বে আমরা মানুষেরা একদম একা।’
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. হাওয়ার্ড স্মিথের মতে, অসংখ্য গ্যালাক্সিতে পৃথিবীর মতো অসংখ্য গ্রহ থাকলেও সেগুলো প্রাণবিকাশের অনুপযোগী। তাই আমরা যে ইটি বা এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল (মহাজাগতিক) প্রাণীর কথা কল্পনা করে থাকি এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছি, তার কোনো মানে নেই। এমনকি আমাদের সৌরজগতের বাইরে লক্ষকোটি আলোকবর্ষ দূরে তাদের অস্তিত্বের ক্ষীণতম সম্ভাবনাও থাকে, তবু তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনো সুদূরতম সম্ভাবনাও নেই।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগতের বাইরে দূরতম সৌরজগতে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ গ্রহ আবিষ্কার করেছেন। মহাজাগতিক ওসব গ্রহে তারা প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে দৃঢ় আশা প্রকাশ করছেন, তবু সেসব কথায় কান না দিয়ে ড. হাওয়ার্ড স্মিথ বলেছেন, ‘এর কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না’।
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত গ্রহগুলোর অবস্থান তাদের নিজ নিজ সূর্য থেকে এত বেশি কাছে কিংবা এত বেশি দূরে যে, যেখানে উষ্ণতা কিংবা শীতলতার চরম তাপমাত্রায় প্রাণের বিকাশের কোনো সূত্রই কাজ করতে পারবে না।’
আবার কিছু কিছু গ্রহের কক্ষপথের অস্বাভাবিকতার কথাও বলেছেন ড. স্মিথ। এই অস্বাভাবিক অবস্থায়ও সেসব গ্রহে জীবনধারণের প্রধান শর্ত পানির তরলতা সম্পূর্ণই অসম্ভব। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, সেসব গ্রহ-নক্ষত্র এবং তাদের সৌরব্যবস্থা বা পদ্ধতি আমাদের সৌরপদ্ধতির চেয়ে এত বেশি অন্যরকম যে, ওখানে আমাদের মতো বুদ্ধিমান বা কমবুদ্ধিমান কিংবা নির্বোধ প্রাণীর জৈবিক অস্তিত্ব বিকশিত হওয়ার কোনোই অবকাশ নেই।’
সুতরাং নতুন এই তথ্যের আলোকে নির্ভর করে ড. স্মিথ বলেছেন, ‘এই মহাবিশ্বে আমরা একদমই নিঃসঙ্গ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মতো খুব কমই সৌরজগত এবং গ্রহ আছে। তার অর্থ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার মতো অন্য গ্রহে বুদ্ধিমান প্রাণী থাকার সম্ভাবনা একেবারেই কম।’
মাত্র গত মাসেই বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বলেছিলেন, আরও লক্ষ কোটি গ্যালাক্সি থাকার কারণে এটা অনুমান অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত যে, মহাবিশ্বের অন্য কোথায় প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের গবেষকরাও বলেন, প্রায় ৪০ হাজার গ্রহে এলিয়েনের অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু ড. স্মিথ সে সব কথাকে নিরেট সত্য নয়, স্রেফ আশাবাদ হিসেবেই নাকচ করে দেন।
ড. স্মিথের এ দাবির ফলে মহাবিশ্বের অন্য কোথাও বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব সম্পর্কিত এলিয়েন (ভিনগ্রহের প্রাণী) তত্ত্বে ফাটল ধরল। সূত্র : দ্য মেইল
মানুষ যখন বৈজ্ঞানিক উত্কর্ষের চরম শিখরে আরোহণ করে মহাবিশ্বে উন্নত প্রাণীর খোঁজে ব্যস্ত, ঠিক তখনই উত্সাহের আঁচে পানি ঢালার মতো করে প্রখ্যাত এক মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ঘোষণা করলেন, ‘মহাবিশ্বে আমরা মানুষেরা একদম একা।’
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. হাওয়ার্ড স্মিথের মতে, অসংখ্য গ্যালাক্সিতে পৃথিবীর মতো অসংখ্য গ্রহ থাকলেও সেগুলো প্রাণবিকাশের অনুপযোগী। তাই আমরা যে ইটি বা এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল (মহাজাগতিক) প্রাণীর কথা কল্পনা করে থাকি এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছি, তার কোনো মানে নেই। এমনকি আমাদের সৌরজগতের বাইরে লক্ষকোটি আলোকবর্ষ দূরে তাদের অস্তিত্বের ক্ষীণতম সম্ভাবনাও থাকে, তবু তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনো সুদূরতম সম্ভাবনাও নেই।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগতের বাইরে দূরতম সৌরজগতে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ গ্রহ আবিষ্কার করেছেন। মহাজাগতিক ওসব গ্রহে তারা প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে দৃঢ় আশা প্রকাশ করছেন, তবু সেসব কথায় কান না দিয়ে ড. হাওয়ার্ড স্মিথ বলেছেন, ‘এর কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না’।
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত গ্রহগুলোর অবস্থান তাদের নিজ নিজ সূর্য থেকে এত বেশি কাছে কিংবা এত বেশি দূরে যে, যেখানে উষ্ণতা কিংবা শীতলতার চরম তাপমাত্রায় প্রাণের বিকাশের কোনো সূত্রই কাজ করতে পারবে না।’
আবার কিছু কিছু গ্রহের কক্ষপথের অস্বাভাবিকতার কথাও বলেছেন ড. স্মিথ। এই অস্বাভাবিক অবস্থায়ও সেসব গ্রহে জীবনধারণের প্রধান শর্ত পানির তরলতা সম্পূর্ণই অসম্ভব। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, সেসব গ্রহ-নক্ষত্র এবং তাদের সৌরব্যবস্থা বা পদ্ধতি আমাদের সৌরপদ্ধতির চেয়ে এত বেশি অন্যরকম যে, ওখানে আমাদের মতো বুদ্ধিমান বা কমবুদ্ধিমান কিংবা নির্বোধ প্রাণীর জৈবিক অস্তিত্ব বিকশিত হওয়ার কোনোই অবকাশ নেই।’
সুতরাং নতুন এই তথ্যের আলোকে নির্ভর করে ড. স্মিথ বলেছেন, ‘এই মহাবিশ্বে আমরা একদমই নিঃসঙ্গ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মতো খুব কমই সৌরজগত এবং গ্রহ আছে। তার অর্থ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার মতো অন্য গ্রহে বুদ্ধিমান প্রাণী থাকার সম্ভাবনা একেবারেই কম।’
মাত্র গত মাসেই বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বলেছিলেন, আরও লক্ষ কোটি গ্যালাক্সি থাকার কারণে এটা অনুমান অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত যে, মহাবিশ্বের অন্য কোথায় প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের গবেষকরাও বলেন, প্রায় ৪০ হাজার গ্রহে এলিয়েনের অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু ড. স্মিথ সে সব কথাকে নিরেট সত্য নয়, স্রেফ আশাবাদ হিসেবেই নাকচ করে দেন।
ড. স্মিথের এ দাবির ফলে মহাবিশ্বের অন্য কোথাও বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব সম্পর্কিত এলিয়েন (ভিনগ্রহের প্রাণী) তত্ত্বে ফাটল ধরল। সূত্র : দ্য মেইল