Wednesday, January 26, 2011



বক্সিং স্টাইলে ক্রিকেট খেলেন ইউসুফ !

এই মুহূর্তে শচীন-শেবাগ-গম্ভীরকে ছাপিয়ে ভারতের সবচেয়ে বড় তারকা ইউসুফ পাঠান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তাঁর মার-কাট ব্যাটিং দেখে অনেক বোদ্ধাই আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতের বড় তারকা ও ম্যাচ উইনার হিসেবে দেখছেন তাঁকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুটো ম্যাচে তাঁর ওপর ভর করেই ভারত জয় পেয়েছে। সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচেও বাকিদের ভয়াবহ ব্যাটিং পারফরম্যান্সের মধ্যেও অনবদ্য এক শতক হাঁকিয়ে ভারতকে প্রায় জিতিয়েই দিয়েছিলেন। যেখানে বাকি সব ব্যাটসম্যান ব্যর্থ, সেখানে তাঁর ব্যাটিং দলে আলাদা এক ভরসার জায়গাই তৈরী করেছে। এর পেছনের রহস্য সম্পর্কে ইউসুফ পাঠান নিজেই বলেছেন, ক্রিকেটটাকে একদমই বক্সিংয়ের মতো খেলেন তিনি।
আজ বুধবার ভারতের অন্যতম শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ইউসুফ জানিয়েছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা জিতিয়ে ফিরতে পারলে ভালোই লাগতো। কিন্তু সেটা হলনা। তবে তিনি মনে করেন, বিদেশের মাটিতে খেলার ক্ষেত্রে ভারত গত চারবছরে দারুণ উন্নতি করেছে। তিনি মনে করেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁদের মাটিতে লড়াই আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতকে দারুণভাবে সহায়তা করবে।
এতদিন দলে আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন। ছোটভাই ইরফান পাঠানতো সেই কবেই দল থেকে বেরিয়ে গেছেন। তবে তাঁর এই উত্থানের জন্য তিনি সিংহভাগ কৃতিত্ব দিয়েছেন তাঁর ছোটভাই ইরফান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। ইউসুফ বলেছেন, ইরফান সবসময়ই বলে আমার ব্যাটিং স্টাইলটা নাকি বিদেশের মাটিতে দারুণ কাজে লাগবে। সে তাঁর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের অভিজ্ঞতা দিয়ে আমাকে পরামর্শ দিয়েছে। আমি সেই মোতাবেক খেলে সাফল্য পেয়েছি।’ ছোট ভাইয়ের প্রতি ঝড়ে পড়ল তাঁর কৃতজ্ঞতা।
বিশ্বকাপের দিকে অসম্ভব আগ্রহ নিয়েই তাঁকিয়ে আছেন তিনি। তাঁর মতে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ হলেও এটি তাঁর মধ্যে আলাদা কোনো চাপ তৈরী করছে না। ইউসুফ বলেন, ‘আমি কখনোই এসব চাপ-টাপ মাথায় রাখিনা। ব্যাপারটি অনেকটা বক্সারদের মতো। রিংয়ে নেমে নিজের মুখ সামলাতে একজন বক্সার দুটো হাতের ওপরই নির্ভর করে। আমিও ক্রিকেটটা খেলি সেভাবেই। মাঠে নেমে চাপ নিয়ে চিন্তা না করে ব্যাট চালিয়ে যাই। ভাগ্য কখনো সহায় হয়, কখনো হয়না। আমি এভাবেই খেলে যেতে চাই। এটাই আমার খেলার ধরন।’